সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

এই সামান্যটুকু সড়কের দ্রুত উন্নয়ন চাই
অনলাইন ডেস্ক

এটা সরকার বিরোধী লোকজনও স্বীকার করবেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান সরকারের আমলে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বর্তমান এমপি, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম তাঁর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নকে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে ঠাঁই দিয়েছেন। তাঁর কাছে কোনো সমস্যাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলেই হলো, তিনি আন্তরিকভাবে সমস্যাটির সমাধানে প্রয়াস চালিয়েছেন এবং সাফল্যও করায়ত্ত করেছেন। তাঁর ধ্যান-জ্ঞানে এলাকার উন্নয়ন ছাড়া অন্যকিছুর প্রাধান্য আছে বলে মনে হয় না। তারপরও যখন জানা যায় প্রকট কোনো সমস্যার কথা, তখন বিস্ময় বোধ করতে হয় বৈকি। এমন একটি সমস্যার কথাই জানা গেলো সম্প্রতি চাঁদপুর কণ্ঠে ফলাও করে প্রকাশিত একটি সংবাদের মাধ্যমে। এ সংবাদটির শিরোনামেই পাঠক থমকে যায় এবং সেটি পড়ার জন্যে আগ্রহী হয়ে যায়।

‘১ কিলোমিটার পাকা সড়কের অভাবে ৭ কিলোমিটার ঘুরতে হয় ১০ গ্রামবাসীকে’ শিরোনামে চাঁদপুর কণ্ঠের অন্যতম জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কামরুজ্জামান টুটুল লিখেছেন, এক কিলোমিটার পাকা সড়কের অভাবে পুরো ৭ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হয় প্রায় ১০ গ্রামবাসীকে। ইটের সলিং করা ১ কিলোমিটার সড়ক ভাঙ্গা হওয়ার কারণে জনসাধারণ ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে না। ইটের সলিংয়ের এ অংশ চলাচল অনুপযোগী হওয়ার কারণে উপজেলা শহর থেকে এলাকায় যেতে হলে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয় ১০ গ্রামবাসীকে। সড়কটি হাজীগঞ্জ পৌরসভার মনিনাগ গ্রামের শেষ মাথা থেকে শুরু হয়ে নাটেহরা গ্রাম হয়ে ৭নং বড়কুল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে গেছে। প্রায় ১ কিলোমটার বাদে বাকি সড়কের পুরোটাই পাকা করা হয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ বাজার থেকে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সামনে দিয়ে রান্ধুনীমুড়া ও মনিনাগ গ্রাম হয়ে নাটেহরা গ্রামে ঢুকেছে সড়কটি। মনিনাগ গ্রামের শেষ মাথায় ব্রীজ করা হয়েছে। উক্ত ব্রীজের পশ্চিম পাড় থেকে শুরু করে নাটেহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে ইটের সলিং রয়েছে। সলিংয়ের এই অংশটি পুরানো হয়ে যাওয়ায় বহু স্থানে ইট উঠে গেছে, ক্ষয়ে গেছে, গর্ত হয়ে গেছে, এমনকি সড়কের পাশের গাছ উপড়ে পড়ে সড়কের অংশ ভেঙ্গে গেছে। এসব কারণে সড়কের এ অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে পর্যন্ত চলাচল করছে না। সড়কের এই অংশ ব্যবহার করে উপজেলা শহর থেকে যারা মাত্র ১৫-২০ মিনিটে বাড়ি যেতে পারে, সড়ক খারাপ হওয়ার কারণে তারাই উপজেলা শহর থেকে বলাখাল পূর্ব বাজার দিয়ে বকুলতলা হয়ে ডাকাতিয়ার ওপর নির্মিত বলাখাল নাটেহরা ব্রীজ পার হয়ে রামচন্দ্রপুর বাজার সড়ক হয়ে ৭ কিলোমিটার সড়ক বেশি ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদেরকে এজন্যে বেশি সময় আর বেশি টাকা গুণতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কের এই অংশ পাকা করা হলে ৭নং বড়কুল ইউনিয়নের উত্তর নাটেহরা, দক্ষিণ নাটেহরা, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, বামনীছোঁয়া, সাদ্রা, সমেশপুর, রামচন্দ্রপুর, জাখনী, দেবীপুরসহ পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরামুন্সীর হাটসহ সংলগ্ন এলাকার হাজার হাজার জনগণ ও শিক্ষার্থীর হাজীগঞ্জে যাওয়া আসার সময় ও অর্থ ব্যয় বহুলাংশে কমে যাবে। এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান জানান, সড়কটি পাকাকরণের লক্ষ্যে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি মহোদয়ের নির্দেশে প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে কাজ করা হবে।

ভাবতে ভালো লাগে, স্থানীয় এমপি মেজর (অবঃ) রফিকের এই সামান্যটুকু সড়ক-উন্নয়নের বিষয়টিও জানা আছে। নিশ্চয় তিনি এ ব্যাপারে যেখানে তদবির চালানো দরকার, সেখানে ঠিকই তদবির চালিয়েছেন। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সরকারের ব্যয় সংকোচন বা অন্য কারণে এ ক্ষুদ্র প্রকল্পটি অনুমোদন পেলেও হয়তো আর্থিক বরাদ্দ প্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটছে । তারপরেও আমাদের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্পটিতে দ্রুত অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়