সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

লক্ষণ খুব ভালো মনে হচ্ছে
অনলাইন ডেস্ক

আগামী মার্চ ও পরবর্তী এপ্রিল এই দুমাস পদ্মা-মেঘনা সহ বাংলাদেশের যেসব নদীতে কিশোর ইলিশ জাটকা বিচরণ করে, সেসব নদীতে জেলেদের কোনো জাল ফেলা ও সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে অর্থাৎ ইলিশের অভয়াশ্রম পালন করা হবে। অতীতে এই অভয়াশ্রম শুরুর আগে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদীর উপকূলবর্তী স্থানে/জেলেপল্লীতে কিংবা অন্য কোনো স্থানে অনেক সভা-সেমিনার দেখা যেতো, এবার সেভাবে সেটি দেখা না গেলেও কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশের নদীতে যে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে, তাতে অভয়াশ্রমের মেয়াদকালটা ভালোই কাটবে বলে মনে হচ্ছে।

চাঁদপুর কণ্ঠে ‘মেঘনা নদীতে নৌ-পুলিশের অভিযানে ৭ বাল্কহেড জব্দ' শীর্ষক সংবাদ থেকে জানা যায়, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার আওতাধীন ১৮ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ পর্যায়ের বিশেষ কম্বিং অপারেশনের অংশ হিসেবে মেঘনা ও পদ্মা নদীর চাঁদপুর নৌ সীমানাসহ শরীয়তপুর অংশে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে নদীতে চলাচলরত অবৈধ বালুবাহী বাল্কহেডের ওপর অভিযান পরিচালনা করেছে নৌ পুলিশ। অভিযানকালে ৭টি অবৈধ বাল্কহেড ও ৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌপুলিশের ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এ বিশেষ অভিযান চালায় নৌ পুলিশ। নৌ পুলিশের ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমরা অত্যন্ত সফলতার সাথে সব সময় অভিযান পরিচালনা করে থাকি। পূর্বে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি। যার কারণে ইলিশের উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় মার্চণ্ডএপ্রিল দুইমাস জাটকা রক্ষায় ৭০টি স্পীডবোটে দেড় হাজার পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পংকজ চন্দ্র রায়, চাঁদপুর নৌ-অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ কামরুজ্জামান, চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ অভিযানে অংশ নেন।

নৌপুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড জাটকা রক্ষায় প্রায়শই শুধু নদীতেই অভিযান চালাচ্ছে না, মৎস্য বিভাগকে সাথে নিয়ে স্থলভাগের বিভিন্ন স্থানেও অভিযান চালাচ্ছে। এতে জাটকা রক্ষার বিষয়টি নিয়ে জনমনে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে বলে আমাদের পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে।

মার্চ-এপ্রিল জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ৭০টি স্পীড বোটে দেড় হাজার নৌপুলিশ নিয়োজিত থাকবে--এটা নিশ্চয় অতীতের সকল সময়ের চেয়ে আশাব্যঞ্জক কিছু। কিন্তু কথা হলো, মৎস্য বিভাগের জন্যে কতোটি স্পীড বোট থাকবে? মৎস্য বিভাগকে ঢাল-তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দারের মতো রাখতে সরকারকে কে বা কারা পরামর্শ দিয়ে চলছে, সেটা আমাদের মাথায় ঢুকছে না। এ ব্যাপারে মৎস্য মন্ত্রণালয়ও কেনো সোচ্চার ভূমিকা রাখছে না সেটাও আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। সে যা-ই হোক, এবার দুমাসের অভয়াশ্রম চলাকালে জাটকা রক্ষায় নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড যে সাঁড়াশি অভিযান চালাবে সেটা বুধবারের অভিযান সহ নিকট অতীতের উল্লেখযোগ্য বেশ ক'টি অভিযানের মাধ্যমে ধারণা করা যাচ্ছে, অর্থাৎ লক্ষণ খুব ভালো মনে হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়