প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভুরি ভুরি ভালো ফলাফলধারী শিক্ষার্থী ভর্তি হয় এবং সে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলী যদি এই সকল শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী ভালো ফলাফল অক্ষুণ্ন রাখা কিংবা তারচে' ভালো করার মতো পাঠদান ও যত্নপূর্ণ তদারকি করতে পারেন, তাহলে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল অর্জন না করে পারে না। কিন্তু এমন আশানুরূপ ফলাফল অনেক স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই করতে পারে না। আর আশাব্যঞ্জক ফলাফল?--সেটি তো আজকাল সুদূরপরাহত বিষয়। এবার এমন ফলাফলই অর্জন করেছে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ। এটি নিয়ে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম হয়েছে 'পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজে এইচএসসির আশাব্যঞ্জক ফলাফল।। ভর্তি হয়েছে এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৯ জন ॥ এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২ জন'।
এ সংবাদে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজে ২০২২ সালের এইচএসসির আশাব্যঞ্জক ফলাফল হয়েছে। এ কলেজ থেকে মোট ৪৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪৩৩ জন। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২ জন। পাসের হার শতকরা ৯৮.৪৭ ভাগ। অকৃতকার্য ৫ জন। এমন আশাব্যঞ্জক ফলাফল সম্পর্কে অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এবার এই কলেজের এইচএসসির ফলাফল সেরা। আমরা এসএসসিতে ১৯ জন জিপিএ-৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এইচএসসিতে ভর্তি করিয়েছি। আমাদের সুদক্ষ শিক্ষকম-লীর আন্তরিক পাঠদানে এইচএসসি পরীক্ষায় ৮২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এটা কলেজের শিক্ষার উন্নত মান ও শিক্ষার সর্বোচ্চ সুন্দর পরিবেশের কারণে সম্ভব হয়েছে বলে মনে করি।
নিঃসন্দেহে সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের ফলাফলকে শুধু আশাব্যঞ্জক নয়, অকপটে বলতে হবে অসাধারণ। এখানে দুবছর আগে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে ২৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলো, যার মধ্যে ৫জন অন্য কলেজে চলে যায়। বাকি থাকে ১৯জন। অথচ এইচএসসি পরীক্ষায় চার গুণেরও বেশি ৮২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এমনটি কতোটি কলেজে পেয়েছে, অর্থাৎ এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া কতোজন ভর্তি হলো, আর তার বিপরীতে এইচএসসি পরীক্ষায় তারচে' বেশি কতোজন জিপিএ-৫ পেলো? ফলাফল পর্যবেক্ষণে স্থূলভাবে আমরা জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বিবেচনা করি, কিন্তু সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে পূর্বের সাথে পরের সংখ্যার তারতম্য বিবেচনা করি না। সেজন্যে আশানুরূপের চেয়ে আশাব্যঞ্জক ফলাফলকে গুরুত্ব দেই না। এটা নিয়ে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষোভ রয়েছে। এই ক্ষোভ নিরসনে জেলা প্রশাসনের শিক্ষা বিভাগ/ পর্যবেক্ষক-বিশ্লেষকদের মতামতে কোনো সংস্থা কিংবা শিক্ষা বোর্ড সহ অন্য কেউ বিশেষ মূল্যায়নের উদ্যোগ নেয়াটা বাঞ্ছনীয় বা ঔচিত্যের পর্যায়ে পড়ে বলে আমরা মনে করছি।