শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

পুলিশের সোর্সই যদি থাকে অনিরাপদ!
অনলাইন ডেস্ক

আমাদের দেশে সাধারণ মানুষ কতোটা নিরাপদে থাকে সেটা নিয়ে রচনা লিখা যাবে দীর্ঘ। আর প্রতিবাদী, সচেতন মানুষ কতোটা অনিরাপদে থাকে, হয়রানি-ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জীবন দিতে হয়, তারও প্রমাণ আছে ভুরিভুরি। সাংবাদিক ও পুলিশের সোর্স যদি সাধারণ্যে পরিচিতি লাভ করে, তাহলে যে কতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, সেটা গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদ পড়েই ধারণা লাভ করা যায়। সংবাদটির শিরোনাম হয়েছে ‘ফরিদগঞ্জে পুলিশের সোর্সকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা’।

সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, ফরিদগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সোর্স রিপন হোসেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সফিক চান গাজী নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার চরদুঃখিয়া (পশ্চিম) ইউনিয়নের লড়াইরচর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে সোমবার বিকেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, ব্যক্তিগত কাজে রিপন হোসেন (৩৮) বাড়ি থেকে বের হন। সামনের রাস্তায় পৌঁছলে রাসেল তপদার (৩৮) দলবলসহ তার ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে রিপন হোসেন গুরুতর আহত হন। তার মাথা, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে যান। খবর পেয়ে তার স্ত্রীসহ অন্য আত্মীয়-স্বজনও ঘটনাস্থলে যান। তারা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

জানা গেছে, গত প্রায় চার মাস আগে ওই গ্রাম থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার পিচ ইয়াবাসহ রাসেল হোসেনকে পুলিশ আটক করে। ওই ঘটনায় রাসেল হোসেনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় রিপন হোসেন দুই নম্বর সাক্ষী। উক্ত ঘটনায় মঙ্গলবার রাসেল হোসেনকে প্রধান আসামী করে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই. নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওসি’র নির্দেশে মামলার তদন্ত চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইয়াবাসহ ধৃত রাসেল হোসেনের মামলার সাক্ষী রিপন হোসেন। এছাড়া তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।

মাদক ব্যবসায়ী কিংবা মাদকসেবীকে কেউ পুলিশ বা অন্য সংস্থার নিকট ধরিয়ে দিলে তার সাথে দ্বন্দ্ব থাকবেই। আর কোনো মামলায় কেউ সাক্ষী হলেও তার সাথে বিবাদীর শত্রুতা সৃষ্টি হবেই। লক্ষ্য করা গেছে, তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়ার সক্ষমতা পুলিশের থাকে না কিংবা নানা কাজের চাপে পুলিশ এমন নিরাপত্তা দিতে পারে না, নয়তো মনোযোগ দেয় না। এতে কতো হামলা এবং নির্মম মৃত্যুর শিকার হতে হয় পুলিশ ও সাংবাদিকের সোর্সসহ প্রতিবাদী চরিত্রের অধিকারী অধিকাংশ সচেতন ও স্পষ্টভাষী মানুষকে, সেটা নিয়ে গবেষণা করলে বেরিয়ে আসবে উদ্বেগজনক চিত্র। সেজন্যে এমন মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে নিবিড়ভাবে ভেবে করণীয় নির্ধারণ করতেই হবে, হেলাফেলা কিংবা অবজ্ঞা করা যাবে না। নাহলে প্রতিবাদী সচেতন মানুষের সংখ্যা কেবলই কমবে, বাড়বে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়