সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

হাজীগঞ্জের নারী কাউন্সিলরের ভূমিকা প্রসঙ্গে

হাজীগঞ্জের নারী কাউন্সিলরের ভূমিকা প্রসঙ্গে
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর জেলায় চাঁদপুর পৌরসভার পরে ‘ক’ শ্রেণীর যে পৌরসভাটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হচ্ছে হাজীগঞ্জ পৌরসভা। অতি সম্প্রতি এ পৌরসভার পুনর্নির্বাচিত মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল-আলম লিপন ও অন্যতম কাউন্সিলর কাজী মনিরের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার তার ফেসবুক আইডিতে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর অভিযোগ তুলে পোস্ট করেছেন, লাইভে এসে কথা বলেছেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন এবং এ সম্মেলনের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদও ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন। শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসেনের ফেসবুক আইডিতে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে প্রদত্ত পোস্টও মিনু আক্তার শেয়ার করেছেন।

আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি) ব্যবহার করে মানুষ কী না করছে। যার-তার বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষ অভিযোগ লিখছে, যাকে-তাকে চরিত্রহীন লিখছে, আবার প্রমাণবিহীন অভিযোগও লিখছে, সরাসরি/রেকর্ডকৃত অডিও-ভিডিও ছাড়ছে, আবার এডিটকৃতটাও ছাড়ছে, লাইভে এসে যা খুশি তা-ই বলছে। স্বাধীনতাকে স্বেচ্ছাচারিতায় রূপান্তরিত করার মোক্ষম মাধ্যম বানিয়ে ফেলছে। হাজীগঞ্জ পৌরসভার নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার তার ফেসবুককে কীভাবে ব্যবহার করছেন সেটা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও অনেকে ছোট্ট করে বলেছেন, তিনি কম/বেশি বাড়াবাড়ির পথেই পা বাড়িয়েছেন।

হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তার বিরুদ্ধে একজন নারী কাউন্সিলরের অপপ্রচার ও কুৎসা রটানোতে নিশ্চুপ থেকে বেশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে চলছেন বলে মনে হচ্ছে। দেখার বিষয়, সবুরে মেওয়া ফলে কিনা। তবে তার পৌর পরিষদের অন্য সকল কাউন্সিলর, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এলাকাবাসী ধৈর্য না ধরে সংক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদী হয়েছেন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে একের পর এক মানববন্ধন ও তিনটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। মিনু আক্তার চাঁদপুর প্রেসক্লাবে তার আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেকে নিরপেক্ষ দাবি করলেও গত শনিবার একই স্থানে হাজীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলরগণ কর্তৃক আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির সমর্থক কাউন্সিলরগণ মিনু আক্তারকে বিএনপিপন্থী বলেছেন এবং নিতান্তই তার পৈত্রিক জমি-সংক্রান্ত বিরোধহেতু নিজে মনমত রায় পৌরসভার পক্ষ থেকে না পাওয়ায় মেয়র ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনায় লিপ্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তারা বলেন, যদি তার উত্থাপিত অভিযোগসমূহ সত্য হতো, তাহলে তিনি প্রতিকার পেতে বিএনপি দলীয় ফোরামকে অবহিত করা, নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় যথাস্থানে পত্র লিখাসহ আইনী ব্যবস্থা নিতে অগ্রসর হতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটি না করে অন্যদের ইন্ধনে বেআইনী পন্থায় এগুচ্ছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়।

হাজীগঞ্জ পৌরসভার নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারের সাম্প্রতিক তৎপরতাকে কাউন্সিলর কাজী মনির উদ্দেশ্যমূলক ও মানহানিকর এবং হাজীগঞ্জ পৌরসভার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার শামিল বলে বিবেচনা করে নির্দিষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এবং হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আদালতের নির্দেশে ও জিডির আলোকে পুলিশ দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে উক্ত থানার ওসি আশ্বস্ত করেছেন। আমাদের দৃষ্টিতে পরিস্থিতি এখন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পর্যায়ে রয়েছে, সাংঘর্ষিক পর্যায়ে যায়নি। আমাদের প্রত্যাশা, উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ এবং মিনু আক্তারের কোনো অভিযোগের আলোকে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতিটা নিয়ন্ত্রিত থাকুক এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলে সহনশীল ভূমিকা রাখুক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়