সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

সিদ্ধান্তটি কার্যকর হোক ভালোভাবে
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নবগঠিত কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২ নভেম্বর বুধবার। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডাঃ এস.এম. সহিদ উল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীনের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন। এই আলোচনার প্রেক্ষিতে সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

চাঁদপুর কণ্ঠে উক্ত সভা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় গুরুত্বপূর্ণ ক’টি সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : মানহীন, অনুমোদনহীন কোনো হাসপাতাল/ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া যাবে না। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঠিক সেবার মান যাচাই এবং সরকারি নিয়মণ্ডনীতির বাইরে কোনো হসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালিত হয় কিনা সেটি পর্যবেক্ষণের জন্যে একটি শক্তিশালী উপ-কমিটি কাজ করবে এবং সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দাখিল করবে। সভায় যেসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন হয়নি, সেসবের লাইসেন্স নবায়ন যাতে দ্রুত সময়ে করা যায় সে বিষয়ে সহযোগিতার জন্যে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পদ গ্রহণের নির্দেশনার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। সেমতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

যে কোনো সংগঠনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে সবচে’ বেশি চাপের মধ্যে থাকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ চাপ প্রশমিত করতে ‘ক্ষমতা ও কাজ’ (পাওয়ার এন্ড ফাংশন) কে ডেলিগেট করতে হয় তথা ভাগ করে দিতে হয়। এমন ভাগ করতে উপ-কমিটি গঠনই উত্তম কাজ। প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নূতন নেতৃত্ব সেই উত্তম কাজটিই করেছে বলে মনে হচ্ছে। এটি তাদের সাংগঠনিক দক্ষতারও পরিচায়ক। এ দক্ষতা প্রমাণ করতে উপ-কমিটিগুলোকে গতিশীল রাখার জন্যে তদারকি ও তাগিদের আবশ্যকতা রয়েছে।

‘সেল্ফ সেন্সর’ বা আত্মনিয়ন্ত্রণ যদি ব্যক্তি ও সংগঠনের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে চর্চিত হয়, তাহলে বাইরের কেউই অনিয়ম ধরতে পারে না কিংবা শায়েস্তা করতে পারে না-এটা প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নূতন নেতৃত্ব তাদের উপলব্ধিতে খুব ভালোভাবেই এনেছে। সে কারণেই সম্ভবত এ অ্যাসোসিয়েশনটি চাঁদপুর জেলায় অনুমোদনহীন কোনো হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলতে না দেয়ার ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা পালনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সিদ্ধান্ত ভালোভাবে কার্যকর হোক-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়