প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

শাহরাস্তির প্রবীণ সাংবাদিক, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ ফারুক চৌধুরী একটি ব্রীজকে নিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সংবাদ পরিবেশন করেছেন। গত সোমবার চাঁদপুর কণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদটির শিরোনাম হয়েছে ‘শাহরাস্তি উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন ত্রিমুখী সংযোগ ব্রীজটি যেন মরণ ফাঁদ’। এ সংবাদে সংযুক্ত ছবিটিই বলে দিচ্ছে অনেক কথা। তারপরও সংবাদটির সারাংশ তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করছি। এ সংবাদে ফারুক চৌধুরী লিখেছেন, শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে মৌলভী সাহেবের দরজার মুখে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিমুখী সংযোগ ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের আন্তরিক প্রচেষ্টায়। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন এ ব্রীজটিকে পুরোপুরি কার্যকর কিংবা প্রত্যাশার অনুকূলে ফলপ্রসূ করা যাচ্ছে না দুটি দোকানের কারণে। ব্রীজটি নির্মাণের তিন বছরের মধ্যেও এ দুটি দোকান অপসারিত হয়নি। দোকান দুটির অবস্থান ব্রীজের পশ্চিম-উত্তর পাশের অ্যাপ্রোচের গোড়ায়, যেগুলো যানবাহন চালকদের স্বস্তি দিতে পারছে না।
ফারুক চৌধুরী সরেজমিন অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছেন, এ ব্রীজটি তিন দিকের সংযোগ রক্ষাকারী হলেও শোরশাক-লোটরা রাস্তায় অর্থাৎ দুদিকের রাস্তায় কেবল সরাসরি যান চলাচল দেখা যায়। কিন্তু বিদ্যমান দুটি দোকানঘরের কারণে শোরশাক রাস্তা হতে যানবাহন আসার সময় কেশরাঙ্গা রাস্তা হতে দেখা যায় না, আবার কেশরাঙ্গা রাস্তা হতে আসা যানবাহন শোরশাক রাস্তা হতে দেখা যায় না। এই সমস্যার কারণে প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো যানবাহন কম-বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সমস্যা সমাধান তথা দোকান দুটি অপসারণের ব্যাপারে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের ব্যবস্থাগ্রহণের কথা ছিলো। কিন্তু সেটি হয়নি।
শাহরাস্তির সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে দৃষ্টিনন্দন ত্রিমুখী সংযোগ সেতুটিকে পুরোপুরি কার্যকর বা ফলপ্রসূ করার জন্যে বিদ্যমান দুটি দোকানঘর অপসারণ খুব বেশি কঠিন কাজ বলে মনে হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কারো না কারো শৈথিল্যের কারণে দোকানঘর দুটির বিদ্যমানতায় সৃষ্ট সমস্যা জেলা প্রশাসকের নজরে যেভাবে আসার কথা ছিলো সেভাবে আসেনি। আমাদের বিশ্বাস, চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাটি দেখে কারো না কারো টনক নড়বেই। এখন দেখার অপেক্ষা, সমস্যাটির সমাধান কবে নাগাদ হয়।