প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

অনেকে যোগ্যতার চেয়ে নিজ জন্মস্থানের বড়াই করেন বেশি। কিন্তু জন্মস্থান কিংবা বিশেষ কোনো স্থান মানুষকে পুরোপুরি যোগ্য করে তোলে না। যোগ্য করে তোলে মেধা, শ্রম, আন্তরিকতা ও আত্মনিবেদন। তবে স্থানের আনুকূল্য এবং স্থানীয়দের মাঝে কারো গ্রহণযোগ্যতা তার যোগ্যতা অর্জনকে সহজতর করে। যেমনটি করেছে অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোঃ শহিদ ওরফে বাদলের ক্ষেত্রে। তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তোলারাম সরকারি কলেজ সংসদে তিনবারের নির্বাচিত ভিপি। তারপর তিনি ‘ভিপি বাদল’ নামে পরিচিত।
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলাধীন গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করলেও শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনের কারণে ভিপি বাদল নারায়ণগঞ্জের একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হন। ছাত্রলীগের মনোনয়নে তিনি তোলারাম কলেজে পর পর তিনবার ভিপি হবার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। তিনি নব্বইর দশকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ছাত্র সমাজকে সুসংগঠিত করেন। এরপর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু মামলার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে গেলে তিনি এই পৌরসভার প্রশাসক মনোনীত হন। ২০০৮ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পান। শুধু তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা অর্জন করায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হন। গত ২৩ অক্টোবর রোববার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি একই পদে পুনরায় নির্বাচিত হন।
গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে মাহবুব আলম লাভলু ভিপি বাদলকে নিয়ে একটি সংবাদ পরিবেশন করেন। ‘মতলব উত্তরের অ্যাডভোকেট বাদল নারায়ণগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক’ শীর্ষক সংবাদে জনাব লাভলু কেনো তিনি (ভিপি বাদল) জনপ্রিয় সেটি তুলে ধরেন। তিনি লিখেন, হাইব্রিড নেতাদের পরিবর্তে ভিপি বাদল নিরীহ, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করায় নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ আজ সুসংগঠিত। করোনা মহামারীর সময় তিনি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন। তিনি দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশ পুরোপুরি মেনে চলেন।
আমরা নিজস্ব কোনো রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা থেকে নয়, ব্যক্তিগত মূল্যবোধ থেকে ভিপি বাদলের মতো একজন জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক নেতার প্রতি দলীয় প্রধানের আস্থা এবং মূল্যায়নকে যথার্থ বলে মনে করছি। তাঁকে জানাই অভিনন্দন। এতে রাজনীতিতে শুদ্ধাচার ও আনুগত্য সম্বলিত নেতারা উৎসাহ বোধ করবেন এবং ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে দলের স্বার্থ ও দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার প্রবণতায় ভুগবেন। যেটি অবশ্যই কল্যাণকর হবে এবং দলীয় পদে অধিষ্ঠিত থেকে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে লিপ্ত নেতাদের মাঝে সতর্কবার্তা সঞ্চার করবে।