শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

আকরাম খানের ঘোষণার বাস্তবায়ন চাই
অনলাইন ডেস্ক

আইসিসি ট্রফি বিজয়ী দলের অধিনায়ক আকরাম খান। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে কিংবদন্তীতুল্য একটি নাম। তাঁর অধিনায়কত্বে ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আইসিসি ট্রফি বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তারপর পর্যায়ক্রমে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, টেস্ট ম্যাচে ও টি-টুয়েন্টিতে খেলছে বাংলাদেশ। ১৯৬৮ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রামের ক্রীড়ামোদী এক বিখ্যাত পরিবারে জন্মগ্রহণকারী আকরাম খান ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে যখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন, তখন সময়টা তাঁর অনুকূলে ছিলো না। ১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে হতাশাব্যঞ্জক ফলাফল করে দেশে ফেরার পর খেলোয়াড়দের মধ্যে বিদ্যমান অনৈক্য ও অসন্তোষের মধ্যে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেন। এই দায়িত্ব নিয়ে ব্যক্তিগত পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি জাতীয় দলকে পরম মমতায় গড়ে তোলেন, যার ফলস্বরূপ তিন বছরের ব্যবধানে আইসিসি ট্রফি করায়ত্ত করা সম্ভব হয়। এতে সারাদেশব্যাপী লক্ষ্য করা যায় আনন্দের বাঁধভাঙ্গা জোয়ার। সে সুখস্মৃতি এদেশের যতোজন মানুষ ধারণ করে আছেন, তারাই বেশি উপলব্ধি করতে পারেন এই দেশের ক্রিকেটের জন্যে আকরাম খান কী অবদান রেখেছেন, কতোটা অপরিমেয় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্র হয়েছেন তিনি।

দেশের ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম বরপুত্র, বর্তমানে বিসিবির পরিচালক আকরাম খান গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২২) চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আসেন বিসিবি কাউন্সিলর কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করতে। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুর স্টেডিয়ামে এর আগে আমি এসেছিলাম খেলোয়াড় হিসেবে। এই জেলাটি ইলিশের জেলা হিসেবে যেমন পরিচিতি পেয়েছে, তেমনি একদিন এ জেলার ক্রিকেটারদের জন্যে বিশেষ পরিচিতি পাবে। তিনি বলেন, চাঁদপুরে যদি ভালো জায়গার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়, তাহলে আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর মাধ্যমে এখানে ক্রিকেটের জন্যে আলাদা মাঠ তৈরি করে দেবো। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার মধ্যে চাঁদপুরের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। এই জেলা থেকে আরো ভালো ক্রিকেটার তৈরি করতে হলে নিয়মিত প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করতে হবে। আর যদি নতুনভাবে মাঠের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে ক্রিকেটাররা সারাবছরই অনুশীলন করতে পারবে। তাঁর এই বক্তব্যের জবাবে উক্ত টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেছেন, বিসিবিকে মাঠ করার জন্যে অবশ্যই জায়গার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

আমরা মনে করি, স্থানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসক আন্তরিকভাবে কাজ করলে চাঁদপুরে ক্রিকেটের জন্যে আলাদা মাঠ তৈরিতে জায়গা খুঁজে বের করা খুব বেশি কঠিন কাজ হবে না। এজন্যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড় মাঠের একাংশ পেতে এসএমসিকে মোটিভেট করা যেতে পারে, রেলওয়ের অব্যবহৃত জায়গা লীজ পাওয়ার জন্যে আবেদন করা যেতে পারে কিংবা ক্রীড়ামোদী কাউকে ভূমিদাতা হবার জন্যে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। যেভাবেই হোক, চাঁদপুরে আকরাম খানের ঘোষণার অনুকূলে ক্রিকেটের জন্যে বিসিবি কর্তৃক আলাদা মাঠ তৈরি হয়ে গেলে চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো বিসিবি কাউন্সিলর কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের সার্থকতা ষোলআনাই প্রতিপন্ন হবে।

আমরা চাঁদপুরে বিসিবি কাউন্সিলর কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিসিবি কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, কোয়াব এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংগঠন ও সংগঠকদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং টুর্নামেন্টটির সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়