শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২২, ০০:০০

করোনা নিয়ে আবারো হতে হবে সতর্ক
অনলাইন ডেস্ক

বৈশ্বিক মহামারী করোনা এখনও করুণ দশায় উপনীত হয়নি। নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়েই চলছে। দেশের মানুষ করোনার কথা ক্রমশ ভুলে যখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রয়াসে লিপ্ত, তখন যদি গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম দেখে ‘লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, শনাক্তের হার ৩.৫৬’, তাতে কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন হতেই হয়। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছিলাম, কিন্তু দেশে এখন আবার করোনা বাড়ছে। গত একমাস দেশে সংক্রমণের হার ছিলো দশমিক ৬শতাংশ, এখন সেটা ২ শতাংশে উঠে গেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হতো, এখন সেটা বেড়ে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ জন। আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, তাতে হাসপাতালে রোগী বাড়তে সময় লাগবে না। তাই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরো সতর্ক হতে হবে। আপনারা সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল কাজ করবেন, এটি আমরা আশা করবো।

দেশে টানা তৃতীয় দিনের মতো দৈনিক করোনা রোগী শনাক্ত ১০০-এর বেশি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয়েছে ১৫৩ জনের। এ সময় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। আগের দিন সোমবার ১২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। রোববার শনাক্ত হয় ১০৯ জনের। গত ২৫ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০-এর নিচে ছিলো। তারপর একশ’ ছাড়িয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা উদ্বেগজনকই বটে।

চাঁদপুরে প্রায় দেড় মাস যাবৎ করোনা শনাক্ত না হলেও গত মঙ্গলবার নতুন করে একজনের করোনা শনাক্ত হবার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এ সংখ্যা যদি বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে সেটি নূতন করে উদ্বেগ ছড়াবে বৈকি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের মাঝামাঝি করোনায় মৃত্যুর মিছিল সৃষ্টি হয়। ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিনে সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

আবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ ছড়াবার আগে আমাদের সকলকে হতে হবে সতর্ক। যারা মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছে, তাদেরকে আবার সেটি পরার অভ্যাস করতে হবে। যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে, তাদেরকে অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে এবং দু ডোজ সম্পন্নকারীদের বুস্টার ডোজ নিতে হবে। বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বে পঞ্চম অবস্থানে আছে। এই অবস্থান ধরে রাখার জন্যে কিংবা আরো উন্নয়নের জন্যে সতর্কতার বিকল্প আছে বলে আমরা মনে করি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়