বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২২, ০০:০০

এসিআর নয়, এপিএআর-এবার বসদের দৌরাত্ম্য কমবে
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের একটি বিভাগীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রচণ্ড ঘুষখোর ও নারীলিপ্সু বলে তার অধস্তন চিকিৎসক সহকর্মীদের মুখে মুখে অভিযোগ আকারে শোনা যায়। এ অভিযোগের এখনও তদন্ত হয়নি এসিআর প্রত্যাশী সহকর্মীদের সাহসিকতার অভাবে। তবে তাদের কেউ কেউ আকার-ইঙ্গিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ বসের স্বরূপ উন্মোচনের প্রয়াস চালিয়েছেন। সম্প্রতি তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। এ উপলক্ষে তার অধীনস্থ সকল চিকিৎসককে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, অন্যথায় নগদ অর্থের নির্ধারিত পরিমাণে উপহার পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এতে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়া চিকিৎসকরা হুকুম তামিল করে বদলি ঠেকানো, ভালো (!) জায়গায় পোস্টিং এবং পদোন্নতির বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন, আর প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যে রুখে দাঁড়ানো চিকিৎসক-সহকর্মীদের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে চলছেন। সেজন্যে অনেকে কমণ্ডবেশি চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন।

এমতাবস্থায় চাঁদপুরে আশার বাণী শুনিয়ে গেলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনসিডিসি)-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ মোঃ শহীদুল ইসলাম শোভন। তিনি গত মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে এক মতবিনিময় সভায় শোভন কথা শুনিয়ে গেলেন। তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারি চাকরি হয়েছে, আপনি সে ভাব নিয়ে বসে থাকবেন-সেদিন আর নেই। আপনাকে আন্তরিকতার সাথে সেবা দিতে হবে। রোগী আপনার কাছে আসবে না, আপনাকে রোগীর কাছে যেতে হবে এবং স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। আগামী দিনে থাকছে না এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন)। এর পরিবর্তে আসছে কর্মভিত্তিক নতুন অনলাইন মূল্যায়ন ব্যবস্থা এপিএআর (বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন)। সুতরাং পদোন্নতি বা পদায়ন পেতে হলে আমাদেরকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

এসিআরের পরিবর্তে এপিএআর চালু হলে নিঃসন্দেহে চিকিৎসকসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবাদানে আন্তরিকতা, উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা ও সমকালের চাহিদা পূরণে সক্রিয়তা দেখা যাবে। এসিআর ভালো করার জন্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে তাদের বসদের ঘুষ-উপঢৌকনই শুধু দিতে হয় না, তেলবাজিও করতে হয়। যে সকল বস ঘুষ-উপঢৌকন নেয় না, তারা অধস্তনদের নিকট থেকে প্রশংসা তথা তেলবাজি প্রত্যাশা করে এবং কোনো সমালোচনা সহ্য করে না। এমন তথাকথিত সৎ বস দুর্নীতিবাজ বসদের চেয়েও কখনো কখনো ভয়ঙ্কর হয়। এমন বসরা সততার লেবাস ধারণ করেও অধীনস্থ সৎ কর্মকর্তা- কর্মচারীর এসিআর ভালো লিখেন না। সেজন্যে সকল বিবেচনায় কর্মভিত্তিক নতুন অনলাইন মূল্যায়ন ব্যবস্থা ‘এপিএআর’ বসদের অযৌক্তিক বিরূপ মানসিকতাকে প্রতিহত করবে এবং যোগ্য লোক যথাসময়ে পদোন্নতি পাওয়া ও যথাস্থানে পদায়ন পাওয়া সহজ বলে আমাদের বিশ্বাস।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়