মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ২০:৪৭

হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু

কামরুজ্জামান টুটুল
হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু

দূর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে গত ১৩ অক্টোবর হাজীগঞ্জে সম্প্রদায়িক হামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দল। বুধবার বিকেলে তদন্ত কাজ শুরুর প্রথম দিনে ভাংচুরের শিকার হাজীগঞ্জ শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ন জিউর আখড়া ও শ্রীরাম কৃঞ্চ সেবাশ্রম মন্দিরসহ ৩ টি মন্দিরে তদন্তে আসেন চাঁদপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন। জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতের নাজির মো ফকরু স্বপন, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, পিবিআই পরিদর্শক পুলক বড়–য়া, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি,মন্দিও কমিটির নেতৃবৃন্ধসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাগন।

অনুপ কুমার সাহা নামের হাই কোর্টের আইনজীবির দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোরব মহামান্য হাই কোট তদন্তে নির্দেশ দেন।

মহামান্য হাই কোটের রিটের সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোরব থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কুমিল্লা ও হাজীগঞ্জসহ বিভিন্নস্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন, তাদের সম্পত্তি ও উপাসনালয়ে হামলার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেন প্রদান করা হয়।

তদন্ত দল পরিদর্শনকৃত মন্দিরগুলোর কমিটির নেতৃবৃন্দ, পূজারী, আশপাশের ব্যাবসায়ীদের সাক্ষাৎকার গ্রহনের ব্যবস্থা করেন।

তদন্তের বিষয়ে চাঁদপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম বলেন, আমরা আজকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য গত ১৩ অক্টোরব কুমিল্লা শহরের একটি পূজা মন্ডপে মূর্তিন পায়ে কোরআন শরীফ উদ্ধার দিন শেষে রাতে কোরআন শরীফ অবমাননার দায়ে হাজীগঞ্জ বাজারে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় কয়েকবার প্রদক্ষিন শেষে শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ন জিউর আখড়া গেটের সামনে এসে পূজা মন্ডপের গেইট লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ভাংচুর শুরু বরে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা আরো মারমূখী হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় পুলিশের মন্দিরের ভিতরে শত শত শিশু নারী পূজারীকে রক্ষাসহ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে ৫ জন নিহত হয়। একই দিন রাতে উপজেলার বেশ কিছু স্থানে মন্দির, পূজা মন্ডপ ও হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলাসহ ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ১০ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামী করা হয়। হামলার সময়ের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে ও আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রায় দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে। এর মধ্যে কয়েকজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়