প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৮
মারাত্মক ঝুঁকিতে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়কের বিদ্যুৎ খুঁটি
বড়ো ধরনের দুর্ঘটনার মুখে হাজারো মানুষ ও যানবাহন

ছবি ক্যাপশন : চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়কের পাশে থাকা সব বিদ্যুতের খুঁটি এভাবেই একদিকে হেলে পড়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। ছবি : কবির হোসেন মিজি।
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়কের পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিগুলোর ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে আবারও চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই সড়কের প্রায় সব বিদ্যুতের খুঁটিই বিপজ্জনকভাবে হেলে রয়েছে। এই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা যে কোনো মুহূর্তে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে, যা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা থেকে শুরু করে বহু মানুষের প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটাতে পারে। স্থানীয়দের মাঝে এ নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
|আরো খবর
সরজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুতের সব খুঁটিতেই তারগুলো শুধুমাত্র একটি পাশ দিয়ে টানা হয়েছে। এই একমুখী টানের কারণে প্রতিটি খুঁটির ওপর স্থির চাপ তৈরি হচ্ছে, যা খুঁটিগুলোকে ধীরে ধীরে তাদের গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে একটি নির্দিষ্ট দিকে ঝুঁকিয়ে দিচ্ছে। এতে খুঁটিগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে সামান্য ঝড়ে খুঁটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়কটি শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম। অথচ এ সড়কের পাশেই দীর্ঘদিন ধরে খুঁটিগুলো একদিকে হেলে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, খুঁটির তারগুলো সব একপাশে টানা থাকার কারণেই এমনটি হয়েছে। এতে খুঁটির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং সেটি প্রতিনিয়ত মাটির দিকে আরও ঝুঁকে পড়ছে।
স্থানীয়দের মতে, মিশন রোড থেকে দর্জিঘাট পর্যন্ত অংশটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় এখানে জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল অনেক বেশি। হেলে থাকা খুঁটিগুলো পথচারীদের জন্য মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করছে।
এই ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটির ঠিক পাশেই বহু মানুষ বাস করেন। প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও পথচারী এই সড়ক ব্যবহার করে।
স্থানীয়রা বলেন, খুঁটিগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে, সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেও বড়ো দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হয়।
একাধিক বাসিন্দা বলেন, কয়েক বছর আগে ফেসবুকে পোস্ট করার পর খুঁটি ঠিক করা হয়েছিল, কিন্তু আবার একই অবস্থা। তারা প্রশ্ন করেন, কর্তৃপক্ষ কেন এত উদাসীন? যদি তার টানার কৌশল পরিবর্তন না করা হয়, তবে বারবার সোজা করেও সমাধান হবে না।
জানা গেছে, পূর্বেও কিছু খুঁটি মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু মূল কারণ– তার টানার কৌশল পরিবর্তন না করায় পুরো লাইনটি আবার চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এটি কর্তৃপক্ষের সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রবণতা ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে উদাসীনতাকে তুলে ধরে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এক খুঁটিতে টান একদিকে হলে পরের খুঁটিতে বিপরীত টান দিতে হয়। এই কৌশল না মানলে খুঁটি বারবার হেলে পড়বে।
জনস্বার্থে আবেদন—মিশন রোড থেকে দর্জিঘাট পর্যন্ত খুঁটির অবস্থা সরজমিনে পরিদর্শন করা হোক এবং শুধুমাত্র সোজা নয়, কৌশল পরিবর্তন করে স্থায়ী সমাধান করা হোক। যেহেতু প্রায় সব খুঁটি ঝুঁকিতে রয়েছে, তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
এই বাইপাস সড়কটি বহু মানুষের দৈনন্দিন পথ। একটি দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার কর্তৃপক্ষের ওপরই বর্তাবে বলে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ও টেকসই সমাধান সময়ের দাবি।
ডিসিকে /এমজেডএইচ






