বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৮

পর্তুগালে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভক্তি

প্রবাসীকণ্ঠ ডেস্ক
পর্তুগালে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভক্তি

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির একটি অংশ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কমিউনিটির মাঝে দ্বিধাভিত্তির সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির প্রধান রানা তসলিম উদ্দিন বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় এ অনুষ্ঠান আয়োজনে অংশগ্রহণ করার জন্যে কমিউনিটির সকলকে আমন্ত্রণ জানাই। এই আহŸানে সাড়া দিয়ে যারা যুক্ত হয়েছেন, তাদেরকে নিয়ে আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটি গঠন করি।

পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির অপর একটি অংশের মুখপাত্র রাজিব আল মামুন, সাজিদ মোহাম্মদ এবং কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন বসবাসকারী প্রবীণ ব্যক্তিত্ব সোয়েব মিয়া জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আহŸান সকলের কাছে নাও পৌঁছতে পারে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে কমিউনিটির অন্য সকল নেতাকে আড়াল করা হয়েছে।

অপরদিকে রাজধানী লিসবনের বাইরের বিভিন্ন শহরে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করেন। এ বিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাদের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি।

পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পর্তো থেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে সেখানে দীর্ঘদিন যাবত বসবাসকারী প্রবীণ বাংলাদেশী বলেন, বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী এই শহরটিতে বসবাস করে। পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির ব্যানারে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে আমরাও অংশগ্রহণ করতে পারতাম। তবে এ বিষয়ে কোনোভাবেই যোগাযোগ করা হয়নি। আয়োজক কমিটিও লিসবনের বাইরের শহরগুলোতে বসবাসকারীদের সাথে যোগাযোগ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে আয়োজক কমিটি অনুষ্ঠানে কোনো প্রকার নাচ-গান না রাখার বিষয়ে ধর্মীয় একটি গ্রæপকে আশ্বস্ত করে তাদের পক্ষে রেখেছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে নাচ-গান করার কারণে ধর্মীয় সেই গ্রæপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন। তারা বলছেন, যেহেতু আয়োজক কমিটির প্রধান রানা তসলিম উদ্দিন পর্তুগালে বাংলাদেশীদের প্রধান মসজিদের কমিটির সভাপতি, সুতরাং একজন মসজিদের সভাপতি হয়ে নাচ গান আয়োজন করাটা ধর্মীয় রীতিনীতি পরিপন্থী।

অপরদিকে সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিরা বলছেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংস্কৃতির নাচ, গান উপস্থাপন করা দোষের কিছু নয়। এমনকি বাংলাদেশেও বিজয় দিবসের আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কনসার্ট এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন রাখা হয়। সুতরাং এটি বাংলাদেশের জাতীয় অনুষ্ঠানের একটি অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে।

অনুষ্ঠানটি সকাল ১১টায় শুরু হয়। সেখানে বিভিন্ন দেশীয় খাবারের স্টল সহকারে নানান ধরনের পণ্যের পসরা সাজানো হয়। একই সাথে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন সহকারে প্রবাসী শিল্পীদের কনসার্টে গান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় মিনিসিপিলিটির কমিশনার, লিসবন বাংলাদেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়