প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৪
ইলমে হাদীস চর্চা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) তাছাড়া মদীনার সনদ, সাদাকাতের নেসাব, বিভিন্ন গোত্রের উদ্দেশ্যে প্রেরিত ফরমান ইত্যাদির সবই রাসূলের (সাঃ) সরাসরি উদ্যোগে লিখিত বিষয় ছিল। নবী করীম (সাঃ) হাদীস লিপিবদ্ধ করার অনুমতি প্রদান করার পর অনেক সাহাবী নিজস্ব নিয়মে ও নিজেদের পছন্দমতে হাদীস লিপিবদ্ধ করে গ্রন্থাকারে সাজিয়ে রাখেন। যদিও এগুলিতে গ্রন্থের রূপ-বৈশিষ্ট্য পরিপূর্ণ বিদ্যমান ছিল না। সাহাবাদের লিখিত সে সব প্রাচীনকালীন লিখিত সম্পদ আজো বিশ্বের বিভিন্ন মিউজিয়ামে বিদ্যমান। সাহাবায়ে কেরাম সংকলিত কতিপয় হাদীস গ্রন্থ :
১. আস সহীফাতুস সাদিকা: সাহাবী যুগে সংকলিত সর্বাধিক সংখ্যক হাদীসের গ্রন্থ। বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) এ সংকলন তৈরি করেন।
২. সহীফাতু আলী: এর রচনাকারী ছিলেন স্বয়ং হযরত আলী (রাঃ)। এটিকে ভাঁজ করে তিনি নিজ তলোয়ারের খাপের মধ্যে সযত্নে রেখে দেন। ৩. কিতাবুস সাদাকাহ: এ গ্রন্থটি স্বয়ং রাসূল (সাঃ) নিজের তত্ত্বাবধানে ওফাতের মাত্র কয়েকদিন পূর্বে লিখিয়ে ছিলেন। এগ্রন্থে যাকাত, সাদাকাত, উশর ইত্যাদি সম্পর্কীয় নির্দেশ ছিল। ৪. সহীফাতু আমর ইবন হাযম : গ্রন্থটি নবী করীম (সাঃ) এর জীবদ্দশায় তাঁরই আদেশক্রমে হযরত উবাই ইবন কা’ব (রাঃ) লিপিবদ্ধ করেুন। রাসূল (সাঃ) দশম হিজরীতে হযরত আমর ইবনে হাযমকে (রাঃ) নাজরানের শাসনকর্তা হিসেবে প্রেরণ করার সময় এ হাদীস গ্রন্থ তার নিকট প্রদান করেন। এতে পবিত্রতা, নামায, যাকাত, হজ্ব, উমরা, জিহাদ ও গণীমত ইত্যাদি বিষয়ে অনেক হাদীস সন্নিবেশিত ছিল। ৫. সহীফাতু ইবন আব্বাস ৬. সহীফাতু জাবির ইবন আব্দুল্লাহ ৭. সহীফাতু আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ ৮. সুহুফু (অনেক গ্রন্থ) আনস ইবনে মালিক। ৯. মুসনাদু আবী হুরাইরা ১০. সহীফাতু সাদ ইবন ইবাদা উল্লেখযোগ্য।
খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে হাদীস সংকলন :
ক. হযরত আবু বকর (রাঃ) : হযরত আবু বকর (রাঃ) নিজে পাঁচ শত হাদীসের একটি সংকলন প্রস্তুত করেছিলেন, তবে শেষ জীবনে তিনি নিজেই তা নষ্ট করে ফেলেন। এর কারণ হিসেবে মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ দু’টি বিষয় উল্লেখ করেছেন-
১. তিনি বিশেষভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর সংকলিত হাদীসে একটি শব্দও যদি রাসূলের (সাঃ) মূল বাণীর বিন্দু মাত্র বিপরীত হয়ে পড়ে তবে রাসূলের (সাঃ) সতর্কবাণী অনুযায়ী তাঁকে জাহান্নামের ইন্ধন হতে হবে।
২. তাঁর মনে এ ভয়ও জাগ্রত হয় যে, তাঁর সংকলিত হাদীস গ্রন্থকে মুসলিম জনগণ যদি কুরআনের সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে বসে বা অন্য সাহাবীগণের বর্ণিত হাদীস অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দিতে শুরু করে, তাহলে ইসলামের বিশেষ ক্ষতি হবে।
খ. হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) : তিনি অনেক হাদীস সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করে ইসলামী রাজ্যের বিভিন্ন শাসকের নিকট প্রেরণ করেছিলেন এবং সর্বসাধারণ্যে সে সবের ব্যাপক প্রচার করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। ইলমে হাদীসের শিক্ষা ব্যাপকতর করার জন্যে তিনি বিভিন্ন অঞ্চলে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রতিষ্ঠা করেন। হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর সময়ই বিচ্ছিন্ন থাকা হাদীস সম্পদ সংকলন করার প্রশ্ন প্রথম উত্থাপিত হয়। ওমর ফারুক (রাঃ) এবিষয়ে অন্যান্য সাহাবীর সাথে পরামর্শ করেন। মুসলমানরা তাঁর অনুকূলেই পরামর্শ দেন। কিন্তু শেষে তিনি একদিন বললেন-আমি তোমাদের হাদীস লিপিবদ্ধ ও সংকলিত করার কথা বলেছিলাম একথা তোমরা জান। কিন্তু পরে মনে হল তোমাদের পূর্বের আহলে কিতাবরাও এমনিভাবে নবীর কথা সংকলিত করে কিতাব রচনা করেছিল এবং আল্লাহর কিতাব পরিত্যাগ করেছিল। আল্লাহর শপথ, আমি আল্লাহর কিতাবের সাথে কোন কিছুই মিশাবোনা। অত:পর তিনি হাদীস সংকলিত করার সংকল্প ত্যাগ করেন। বস্তুত: সুসংবদ্ধ ও সংকলিত হাদীস গ্রন্থ পেয়ে লোকেরা হয়তো কুরআন থেকে তাকে বেশি গুরুত্ব দিবে এবং কেবল হাদীস অনুযায়ী চলতে শুরু করবে, শুধুমাত্র এভয়েই এমর (রাঃ) হাদীস সংকলনের সংকল্প পরিত্যাগ করেন। তিনি এটাকে যে নাজায়েয মনে করতেন না, তা তাঁর পূর্বোল্লিখিত কার্যকলাপ থেকে সহজেই অনুমেয়।
গ. হযরত ওসমান (রাঃ) : হযরত ওসমান (রাঃ) খুবই কমসংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেছেন। কেন না তিনি ভুল হওয়ার আশংকায় হাদীস বর্ণনা করা থেকে এক প্রকার বিরত ছিলেন বলা চলে। এ বিষয়ে তাঁর নিজের বক্তব্য হচ্ছে: ‘‘রাসূলের (সাঃ) সাহাবাদের মধ্যে আমি কম হাদীস জানি, এটি রাসূল (সাঃ) এর হাদীস বর্ণনা থেকে আমার বিরত থাকার কারণ নয়। আসল কারণটি হচ্ছে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি নিজেই রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি যা বলিনি যদি কেউ তা আমার কথা হিসেবে বর্ণনা করে তবে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।’’ তাই হযরত উসমানের (রাঃ) বর্ণনা করা কয়েকটি মাত্র হাদীস পাওয়া যায়।
ঘ. হযরত আলী (রাঃ) : যে কয়জন সাহাবী হাদীস লিপিবদ্ধ করেছিলেন হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তিনি তাঁর লিখিত হাদীস ভাঁজ করে তাঁর তলোয়ারের খাপে রেখে দিয়েছিলেন। (বুখারী, মুসনাদে আহমদ)
অবশ্য সাহাবায়ে কেরামের এ সংগ্রহ ও সংকলন ছিল সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পর্যায়ে। তবে সামগ্রিকভাবে হাদীস সংকলন হয়েছিল পঞ্চম খলিফা খ্যাত হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযীযের শাসনামলে। হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের শাসনামলে হাদীস সংকলন : প্রখ্যাত তাবেয়ী হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ (জন্ম ৬১ হি:, মৃত্যু ১০১ হি:), ৯৯ হিজরী সনে খলিফা নির্বাচিত হন। তাঁর খিলাফতের মেয়াদ ছিল দুই বছর পাঁচ মাস। ঈমান, তাকওয়া ও যোগ্যতার কারণে তিনি ইসলামের পঞ্চম খলিফা হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেই তিনি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন যে ইসলামী জীবন যাপন ও খিলাফত পরিচালনার জন্যে হাদীস এক অপরিহার্য সম্পদ। সাহাবায়ে কেরামের প্রায় সকলে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। অধিকাংশ তাবেয়ীও দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। যারা বেঁচে আছেন তারাও আর বেশি দিন থাকবেন বলে মনে হয় না। অতএব, অনতিবিলম্বে এই মহান সম্পদ সংগ্রহ ও সংকলন একান্ত দরকার। এটি ভেবেই তিনি ইসলামী রাজ্যেও বিভিন্ন কেন্দ্রে নিম্নোক্ত ফরমান লিখে পাঠান-‘রাসূলের (সাঃ) হাদীসের প্রতি দৃষ্টি দাও। তা সংগ্রহ- সংকলন কর।’’ মদীনার শাসনকর্তা ও বিচারপতি আবু বকর ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাযমকেও তিনি নিম্নোক্তভাবে ফরমান লিখে পাঠান- ‘‘রাসূল (সাঃ)-এর হাদীস বা তাঁর সুন্নাত অথবা হযরত ওমরের বাণী কিংবা অনুরূপ যা কিছু পাওয়া যায় তার প্রতি দৃষ্টি দাও এবং আমার জন্যে লিখে নাও। কেননা আমি ইলমে হাদীসের ধারক-বাহকদের অন্তর্ধান ও হাদীস সম্পদের বিলুপ্তির আশংকা করছি।’’ (বুখারী-কিতাবুল ইল্ম) ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ তাবেয়ী ইমাম জুহরীকে বিশেষভাবে হাদীস সংকলনের কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ হাদীস সংগ্রহ ও সংকলনের ফরমান জারি করার পর বেশি দিন জীবিত ছিলেন না (মৃত্যু: ১০১ হি:) কিন্তু তাঁর ফরমানের ফলে হাদীস সংগ্রহ ও সংকলনের যে প্রবাহ শুরু হয়েছিল তা পরের কয়েকশ বছর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তাবেয়ীগণ বিভিন্ন শহরে উপস্থিত থাকা সাহাবী বা তাবেয়ীদের নিকট থেকে হাদীস সংগ্রহের জন্যে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতেন। হিজরী ২য় শতকের শুরু থেকে কনিষ্ঠ তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীনদের এক বিশাল কাফেলা সাহাবা ও প্রবীণ তাবেয়ীদের লিখিত হাদীসগুলো ব্যাপকভাবে একত্রিত করতে থাকেন। খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজিজ (রহ:) এর সরকারী ফরমান এব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হিজরী প্রথম শতকে হাদীস সংকলন : খলিফা ওমর ইবনে আব্দুল আযীযের আদেশক্রমে ইমাম শাবী, ইমাম যুহরী, ইমাম মাকহুল দামেশকী ও কাযী আবু বকর ইবনে হাযম প্রমুখ (রহ:) হাদীস সংকলনে মনোনিবেশ করেন। এ শতকে হাদীস সংকলনের কাজ সামান্য হলেও এরই ফলে যে হাদীস গ্রন্থকারে সংকলনের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল তা অনস্বীকার্য।
হিজরী দ্বিতীয় শতকে হাদীস সংকলন : হিজরী দ্বিতীয় শতকের প্রথম থেকেই হাদীস সংকলনের কাজ শুরু হয়। তবে এ শতকের মাঝামাঝি সময়ে একাজ নিয়মিতভাবে চলতে থাকে। এযুগে সংকলিত গ্রন্থগুলো হলো:
১. কিতাবুল আছার-ইমাম আবু হানিফা, ২.মুয়াত্তা-ইমাম মালেক ৩.আলজামে-সুফিয়ান সাওরী। ৪.কিতাবুস সুনান-ইমাম মাকহুল। ৫.কিতাবুস সুনান-আবু আমর আওযায়ী। ৬.কিতাবুস সুনান-আবু সাঈদ ইয়াহইয়া ইবনে যাকারিয়া। ৭.কিতাবুল মাগাযী- আবু বক্র ইবনে হাযম। ৮.কিতাবুস সুনান, কিতাবুযযুহ্দ, কিতাবুল মানাকিব-যায়েদ ইবনে কুদামা। ৯.ইমাম শাবী একই বিষয়ের হাদীস একই স্থানে একত্রিত করে একখানি গ্রন্থে রূপ দিয়ে ছিলেন বটে, কিন্তু তা মাত্র কয়েকটি অধ্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল। এর বেশি তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।
হিজরী তৃতীয় শতকে হাদীস সংকলন : হিজরী তৃতীয় শতকে মুসলিম জাহানে যাঁরা হাদীস শিক্ষাদান ও গ্রন্থ প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন তাঁরা হলেন, আলী ইবনুল মাদিনী, ইয়াহইয়া ইবনে মুয়ীন, আবু জুযয়া রাযী, আবু হাতেম রাযী, মুহাম্মদ ইবনে জারীর তাবারী, ইবনে খোযায়মা, ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহে, মুহাম্মদ ইবনে সাদ ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল প্রমুখ। এসময় ‘মুসনাদ’ নামক গ্রন্থ সংকলন করা হয়। এ শতকের শেষ দিকে প্রসিদ্ধ ‘সিহাহ সিত্তাহ’ও সংকলন করা হয় এবং একে হাদীস সংকলনের সোনালী যুগ বলা হয়। হাদীসের এ গ্রন্থসমূহ সংকলিত হওয়ার পর হাদীস সংরক্ষণ ও প্রচারের প্রথম ও দ্বিতীয় যুগের ধারা পরিবর্তন হয়ে যায়। অর্থাৎ মুখস্থ করার মাধ্যমে সংরক্ষণ এবং বক্তব্যের মাধ্যমে প্রচারের ধারা পরিবর্তন হয়ে পুস্তক বা গ্রন্থ আকারে সংরক্ষণ ও পুস্তক পাঠের মাধ্যমে প্রচারের ধারা শুরু হয়ে যায় এবং তা দ্রুত গতিতে প্রসিদ্ধি ও জনপ্রিয়তা লাভ করে।
হিজরী ৫ম শতক থেকে বর্তমান কাল : এ সুদীর্ঘ সময়ে হাদীস সংরক্ষণ, সংকলন ও প্রচারে যে কাজ হয়েছে তার সারসংক্ষেপ হলো: ১. হাদীসের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসমূহের ভাষ্যগ্রন্থ, টীকা ও অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ গ্রন্থ রচিত হওয়া।
২. হাদীস শাস্ত্রের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ এবং এসব গ্রন্থের ব্যাখ্যা ও সারসংক্ষেপ রচিত হওয়া।
৩. বিশেষজ্ঞ আলেমগণ কর্তৃক তৃতীয় যুগের গ্রন্থাবলী থেকে নিজেদের আগ্রহ বা প্রয়োজনে হাদীস চয়ন করে গ্রন্থ প্রণয়ন করা। এধরনের কয়েকটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হচ্ছে:
ক. মিশকাতুল মাসাবীহ-সংকলক : ওয়ালী উদ্দিন খতীব তাবরীযী। খ. বিয়াদুস-সালিহীন-ইমাম আবু যাকারিয়া শরফুদ্দিন নববী। গ. মুলতাকাল আখবার- ঘ. মাসাবীহুস সুন্নাহ ইত্যাদি। কম্পিউটার আবিষ্কার হওয়ার পর কম্পিউটার ডিস্কের মাধ্যমে হাদীস সংরক্ষণ ও ওয়েব সাইটের মাধ্যমে হাদীস প্রচারের কাজ শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে তা দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
অতএব, রাসূল প্রেমিক জ্ঞান সাধকদের নিরন্তর সাধনা ও অধ্যাবসায়ের বদৌলতে সংকলিত হয়েছে রাসূলের অমূল্য হাদীস ভান্ডার। আধুনিক বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার এ যুগে হাদীস সংরক্ষণ ও প্রচার-প্রসারে ভবিষ্যতে উদ্ভাবিত হবে অসংখ্য অত্যাধুনিক পন্থা। তবে পাশাপাশি চালু রাখতে হবে হাদীসের বাস্তব অনুসরণের সনাতন ধারা। চলবে
মুহাদ্দিস, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা, খতীব, কালেক্টরেট জামে মসজিদ, চাঁদপুর।