প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১২
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে ‘অ ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯-১১-২০২৪) বিকেলে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন হাউসঅব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য, আলেকজান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি। কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন। কনফারেন্স পরিচালনায় ছিলেন ভয়েস ফর বাংলাদেশের ফাউন্ডার এবং ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুক।
সেমিনারে ৫ আগস্টের আগে ও পরের বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন আলোচকরা। এ সময় এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে, এটা আমার ব্যক্তিগত মত।’ আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলে, বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে টুকরো টুকরো করে ফেলতো। সেটা দেশের জন্যে ভালো হতো না।’
এ সময় গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট বিরোধী অবস্থানে পাশে থাকায় যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সবাইকে ধন্যবাদ জানান ভয়েস ফর বাংলাদেশের ফাউন্ডার আতাউল্লাহ ফারুক। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর বাংলাদেশে কোনো বাক স্বাধীনতা ছিল না, মিথ্যা মামলা ও বিচার বহির্ভূত হত্যা ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। এখন আমরা কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে নিজ দেশে ভ্রমণ করতে পারছি।
কনফারেন্সে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে, সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার এমপি ড রুপা হক।
সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।
কনফারেন্সে নিজের বক্তব্যে লর্ড হোসাইন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।
কনফারেন্সে টেরোরিস্ট সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক প্রধান আব্বাস ফায়েজ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী মাইকেল পোলাক। বাংলাদেশে নিজের আগের ২ বার সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, তিনি নিশ্চিত এবার যখন বাংলাদেশে যাবেন, তখন অনেক মুক্ত অনুভব করবেন।
এছাড়াও সেমিনারে আলোচক হিসেবে অংশ নেন আইনজীবী ও কলামিস্ট ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ। পাশাপাশি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।