প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:১০
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার সুযোগ দিচ্ছে না সরকার
মালয়েশিয়ায় নথিভুক্ত নয় এমন অভিবাসী কর্মীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না সরকার। দেশটিতে নথিভুক্ত নয় বাংলাদেশিসহ একটি বড়ো অংশ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা আশায় ছিলেন সরকার বৈধতার সুযোগ দেবে, কিন্তু সে সুযোগ আর হচ্ছে না।
‘রিক্যালিব্রেশন ২.০’ প্রোগ্রামের বৈধকরণ প্রকল্পের মেয়াদ আর না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই ঘোষণা দেশটিতে অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের জন্যে বড়ো দুঃসংবাদ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছরের (২০২৩) ১০ জানুয়ারি অনথিভুক্ত অভিবাসী কর্মীদের জন্যে বৈধকরণ প্রকল্প ‘রিক্যালিব্রেশন ২.০’ চালু করা হয়, যা আরটিকে ২.০ প্রোগ্রাম নামেও পরিচিত। প্রাথমিকভাবে এর মেয়াদ ছিলো গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এরপর এর মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। এরপর আর বাড়ানো হয়নি মেয়াদ। সোমবার (২১ অক্টোবর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানিয়েছে, এই কর্মসূচির সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না।
এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছেন, অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধকরণ প্রকল্প ‘রিক্যালিব্রেশন ২.০’-এর শেষ সময়সীমা ছিলো চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সেটা আর বাড়ানো হবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইসমাইল জানান, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় কর্মীর সংকট নেই। এ কারণে এই বৈধকরণ কর্মসূচির সময়সীমা আর বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। একই সঙ্গে দেশটিতে নতুন করে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটার আবেদনের ওপর যে স্থগিতাদেশ রয়েছে, সেটিও পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এছাড়া ভবিষ্যতে দেশটিতে নতুন করে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটা খোলার প্রয়োজন হলে সরকার তা পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করবে বলেও জানান এই মন্ত্রী।
কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর এর সময়সীমা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন দেশটির নিয়োগকর্তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, উৎপাদন ও পরিষেবা খাতে বৈধ বিদেশি শ্রমিকের সংকট রয়েছে। পুনরায় রিক্যালিব্রেশন ২.০ প্রোগ্রামের রেজিস্ট্রেশন পর্ব চালু করা না হলে এই খাতগুলোতে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে ২১ লাখ ৭১ হাজার ৭৯৮ জন বিদেশি কর্মী রয়েছেন। যার মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন ১২ লাখেরও বেশি। আরটিকে ২.০ দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকার কারণে এখন কয়েক লাখ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য বিদেশি কর্মী অবৈধ হওয়ার পথে।