রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:১৭

মিশরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের পাশে ‘বিএম সাবাব ফাউন্ডেশন’

আফছার হোসাইন, মিশর থেকে
মিশরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের পাশে ‘বিএম সাবাব ফাউন্ডেশন’

গত এক বছর ধরে ইসরায়েলিদের বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়ে হাজারো ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরে। জায়ানিস্টদের দ্বারা গাজায় নির্যাতিত হয়ে মিশরে আশ্রয় নেওয়া এ সকল অসহায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও আর্থিক সহযোগিতা করে আসছে বাংলাদেশের বেশ ক’টি মানবিক সংস্থা।

সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবিক সংস্থা ‘বিএম সাবাব ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান ও বাপ্পি-শাকিলা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম মুহিবুল ইসলাম সাবাব মিশর সফরে আসেন তাদের পাঠানো অনুদান পরিচালনার কার্যক্রম পরিদর্শনে। তাঁর এই সফরকে ঘিরে বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মানবিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন’ ও ‘আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাংলাদেশ’ এক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

রাজধানী কায়রোর আব্বাসীয়ার তাতবিকাইন টাওয়ার কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএম সাবাব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক বাপ্পি-শাকিলা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকে সম্মাননা স্মারক প্রদানের মাধ্যমে সম্মান জানান ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন’-এর ব্যবস্থাপক হুজাইফা খান আজহারী।

এ সময় ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মিশরে ২৫টি ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবার ও সিরিয়ান কয়েকটি পরিবারের মাঝে এক মাসের ভরণ পোষণ নিশ্চিত করতে তাদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ২১ জন বাংলাদেশি কৃতী শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বিএম সাবাব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম সাবাব জানান, অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক বাংলাদেশী মানবিক সংস্থা বাপ্পী-শাকিলা ফাউন্ডেশন ফিলিস্তিনের ২৫টি পরিবার থেকে ২৫ জন বাচ্চার ১৮ বছর পর্যন্ত ভরণ পোষণ ও শিক্ষার দায়িত্ব নিবে। সেই ২৫টি বাচ্চার পড়া লেখা শেষে তাদেরকে ৫, ১০ অথবা ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তাদের ব্যবসা করতে সহযোগিতা করবে।

তিনি আরো বলেন, আগামীতে বিএম সাবাব ফাউন্ডেশন এবং বাপ্পি-শাকিলা ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মিশরের ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের প্রেরিত ভালোবাসা পৌঁছে দিতে একযোগে কাজ করবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়