প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৬
জার্মানিতে প্রবাসীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন
দীর্ঘ অপেক্ষার পর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হৃদয়ের উৎসব দুর্গা পূজা উদ্যাপন করা হয়েছে। এবার জার্মানির ফ্রাংকফোর্টের স্থানীয় একটি হলে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রতি বছরই দুর্গা মায়ের মর্ত্যধামে ফেরার অনন্দে মেতে উঠে এই ধরিত্রী, বিশেষ করে বাঙালিদের মধ্যে এই পূজোর উন্মাদনা একটু বেশিই থাকে। যে কারণে তারা নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
দুর্গা পূজা মানেই ঢাকের আওয়াজ, প্যান্ডেলে হৈহুল্লোড়, নতুন জামা-কাপড় ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে জমিয়ে আড্ডা এবং এরই সঙ্গে শুরু হয় একে অপরের শুভ কামনা ও ভালোবাসায় ভরা দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা।
প্রাবাসী বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন বেশ লক্ষ্য করার মতো। এবার প্রাবাসী বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ‘জার্মান-বাংলা সনাতন কালচারাল এসোসিয়েশন’ জার্মানির ফ্রাংকফোর্টে দুর্গা পূজার আয়োজন করে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাঙালি ঐতিহ্য তারা দীর্ঘদিন ধারণ করে আসছে। সংগঠনের মাধ্যমে প্রবাসীরা জার্মানি তথা ইউরোপে যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
সংগঠনের সভাপতি শ্রী আদিত্য শর্মা, সহ-সভাপতি শ্রীমতি জুঁই চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শ্রী আশিষ কুমার দাস, অর্থ-সম্পাদক শ্রী অখিল শর্মা ও প্রচার সম্পাদক শ্রী নীল কমল সাহার প্রচেষ্টায় প্রবাসে শারদীয় দুর্গোৎসবের ঐতিহ্য বাঙালি মননে প্রশংসিত হয়েছে। আনন্দে মেতেছে প্রবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সার্বজনীন দুর্গোৎসবে এক মিলন মেলায় রুপান্তির হয় পূজা মন্দির। পূজায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিতা দত্ত।
প্রতিদিন সকালে শুরু হয় পূজা। দুপুরে প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যায় আরতি এবং পরে সংস্কৃতি ও প্রসাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পূজার আচার-অনুষ্ঠান শেষ হয়।
৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দুর্গোৎসব ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।