প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৫
বাংলাদেশ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিষদ গঠন
চলমান সংকট নিরসনে সংবাদ সম্মেলন
বাংলাদেশ সেন্টার একটি সেবামূলক দাতব্য প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালে এই প্রতিষ্ঠানের ভবনটিতেই বিচারপতি আবু সায়ীদ চৌধুরী রাজনৈতিক অফিস প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন লাভের চেষ্টা করেছিলেন। স্বাধীনতার পর এই ভবনটিতেই বাংলাদেশের প্রথম দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস পরবর্তীতে অন্যত্র স্থানান্তর করা হলেও এই ভবনটিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সেন্টার। তাই বাংলাদেশ সেন্টার এবং এই ভবনটি বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ বটে। এই প্রতিষ্ঠানটির মান-মর্যাদা রক্ষা করা সকল বাঙালির দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করেন ব্রিটিশ বাঙালিরা।
বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডন-এর ব্যবস্থাপনা পরিষদ গঠন সহ চলতি বিরাজমান সংকটের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বাংলাদেশ সেন্টারের মেম্বারশীপ এবং বৃহত্তর বাংলাদেশী কমিউনিটিকে অবহিত করার লক্ষ্যে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে শনিবার দুপুর ২ টায় এক সংবাদ সংম্মেলন সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৭ আগস্ট এই বাংলাদেশ সেন্টার ভবনে বাংলাদেশের দূতাবাস চালু করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেন্টারকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ করে নেয়া হয়। তাই প্রতিষ্ঠানটির মান-মর্যাদা রক্ষা করা প্রতিটি বাঙালির দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু এই সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র চলছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেন্টারের বিরাজমান সংকট সম্পর্কে সেন্টারের মেম্বারদেরকে সঠিক তথ্য উপাত্ত জানানো সাংবাদিক ভাইদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সংকট থেকে উত্তরণের উপায় নির্ধারণে সাংবাদিকদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্যে তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, সেন্টারের চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রদূত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্যে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু কিছু কায়েমী স্বার্থবাদীর অসংবিধানিক কার্যকলাপ ও অনমনীয়তা প্রদর্শনের কারণে সংকটটির সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ সেন্টারের সংবিধান বা গভর্নিং ডকুমেন্ট অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক এবং কেবলমাত্র এই গভর্নিং ডকুমেন্টের সঠিক অনুসরণেই সংকটের সমাধান নিহিত রয়েছে। তাই সকল মতপার্থক্য ত্যাগ করে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশ সেন্টারের স্বার্থ রক্ষার্থে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদানের জন্যে সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ইসবা উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ছোটন ও চীফ ট্রেজারার ফাইজুল হক। আয়োজকবৃন্দ অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্যে উপস্থিত সকল সাংবাদিককে ধন্যবাদ জানান এবং দেশীয় সম্পদ রক্ষা ও চ্যারিটির সংবিধান মোতাবেক কমিটি গঠনের জন্যে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।