শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২

পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে

অনলাইন ডেস্ক
পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের  ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে

'এইচএসসিতে চাঁদপুর জেলায় প্রথম ড. মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজ' শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদটি পাঠকমাত্রেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সংবাদটিতে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন লিখেছেন, ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় কচুয়ার ৯টি কলেজ থেকে সর্বমোট ২ হাজার ১শত ৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৭শ’ ৩৮জন উত্তীর্ণ হয়েছে। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ’ ৮৬ জন। শতকরা পাসের হার ৮০ ভাগ। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও ধারাবাহিকতায় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে কচুয়ার হাসিমপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ড. মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজ। এ কলেজ থেকে এ বছর ১শ’ ৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১০০ ভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২ জন। এছাড়া কলেজটি কুমিল্লা বোর্ডে ৫ম ও চাঁদপুর জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

এইচএসসি পরীক্ষায় চাঁদপুর জেলায় কচুয়ার ড. মনসুর উদ্দিন মহিলা কলেজের সেরা ফলাফল শুধু এ বছর নয়, বিগত ক'বছর ধরেই অব্যাহত আছে, যা বিস্ময়কর। চৌকস অধ্যক্ষ তাপস কুমার দত্তের সময়কালে এই সেরা ফলাফলের সূচনা হয়। বর্তমানে তিনি সে কলেজে না থাকলেও সেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন বর্তমান অধ্যক্ষ। এ ক্ষেত্রে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সহ পুরো গভর্নিং বডির সহযোগিতা অবশ্যই ছিলো ও আছে বলে আমরা মনে করি। একসময় হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ বেসরকারি থাকাবস্থায় প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ড. আলমগীর পাটোয়ারীর নেতৃত্বে এ কলেজে এতোটা উন্নত পাঠদান করা হতো যে, প্রতিবছরই এইচএসসি পরীক্ষায় জেলায় সেরা ফলাফল অর্জন করতো। এতে এই কলেজটি দেশের অন্যতম সেরা কলেজের স্বীকৃতি পায়। চাঁদপুর জেলা সদরের কলেজগুলোর ফলাফল এই কলেজের ফলাফলের কাছে বরাবর ম্লান থাকতো। ২০১৮ সালে কলেজটি জাতীয়করণ তথা সরকারি হলে, বিশেষ করে অধ্যক্ষ আলমগীর কবির পাটোয়ারীর অবসরগ্রহণের পর এইচএসসির ফলাফলে ক্রমশ অবনমন ঘটে। এবারতো হতাশাব্যাঞ্জক ফলাফল অর্জন করে অতীতের ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা ও গৌরবকে ধূলিসাৎ করেছে। একজন কাণ্ডারীরূপী অধ্যক্ষের অভাবে এমনটি যে হয়েছে, সেটি খুব সহজে অনুধাবন করা যায়।

বলা দরকার, কচুয়ার গ্রামে অবস্থিত ড. মনসুর উদ্দিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে নেই তাপস কুমার দত্ত, তিনি এখন আছেন শাহরাস্তির গ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে। সে প্রতিষ্ঠানটি এইচএসসি পরীক্ষায় উপজেলায় সেরা ফলাফল অর্জন করেছে। এ সংক্রান্ত সংবাদও গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়। শাহরাস্তিতে 'চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজের সেরা ফলাফল' শিরোনামের সংবাদটিতে মোঃ আবুল কালাম লিখেছেন, শাহরাস্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৬ টি কলেজের মধ্যে চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজ উপজেলায় সেরা ফলাফল লাভ করেছে। জানা যায়, এবার এ কলেজ থেকে ৬৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬৩ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৬.৯২ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০ জনই কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতভাগ। কলেজের অধ্যক্ষ তাপস কুমার দত্ত বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সার্বিক পরামর্শ ও শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ ফলাফল সম্ভব হয়েছে। কলেজের একাডেমিক এডভাইজার ও রসায়নের শিক্ষক অধ্যাপক মো. আবুল কালাম বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা মূল্যায়নে কঠোরতা প্রদর্শন, অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা, সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়াতে এ ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের পেছনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিষ্ঠা, অখণ্ড সততা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দায়িত্ববোধে উজ্জীবিত রাখার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানের পারঙ্গমতা যে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, সেটা ড. আলমগীর কবির পাটোয়ারী ও তাপস কুমার দত্ত সহ আরো অনেকের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়। এমন চৌকস প্রতিষ্ঠান প্রধান থাকলে প্রতিষ্ঠানটি জেলা, উপজেলা সদরে অবস্থিত না হলেও চলে। যেমনটি কচুযার ড. মনসুর উদ্দিন মহিলা কলেজ এবং শাহরাস্তির চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজ। আমরা এ দুটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষায় যথাক্রমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সেরা ফলাফলের জন্যে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতের অক্ষুণ্ন ধারাবাহিকতা প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়