প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৩
বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন
আইদি পরিবহনের এক মাসের আল্টিমেটাম
বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে শাহরাস্তি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে আইদি পরিবহন কর্তৃপক্ষ। ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আগামী এক মাসের আলটিমেটাম দেয়া হয়।
|আরো খবর
আইদি পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর পারভেজের উপস্থিতিতে উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, চাঁদপুর জেলার জনগণের আস্থার প্রতীক আইদি পরিবহন বিগত দিনগুলোতে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। জুলাই মাস থেকে যাত্রা শুরু করার পর থেকে কুমিল্লা জেলায় যেতে পারছে না আইদি পরিবহন। অথচ বোগদাদ পরিবহন চাঁদপুর জেলার অনুমতি না থাকলেও ক্ষমতার দাপটে চাঁদপুর জেলায় যাত্রী পরিবহন করছে। তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলা আরটিসির সভায় আইদি পরিবহন অনুমতি লাভ করে। কিন্তু তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালী এমপির হস্তক্ষেপে কুমিল্লা জেলার আরটিসির সভায় আইদি পরিবহনকে অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আগামী এক মাসের মধ্যে কুমিল্লা জেলায় অনুমতি পাওয়া না গেলে আমরা ছাত্র-জনতার উদ্যোগে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলবো। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করবো।
আইদি পরিবহনের আরেক উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম সুমন বলেন, চাঁদপুর- কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে কুমিল্লা জেলার মধ্যে মাত্র দুটি স্টেশন আর চাঁদপুর জেলায় নয়টি, তারপরও চাঁদপুরের পরিবহনকে তারা ক্ষমতার দাপটে কোণঠাসা করে রেখেছে। তাদের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে ইতিমধ্যেই বহু পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। মানব কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত আইদি পরিবহন কখনোই বন্ধ হবে না, প্রয়োজনে চাঁদপুরে বোগদাদ প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
আইদি পরিবহনের ম্যানেজার মনির হোসেন বেপারী বলেন, আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলার আরটিসি সভায় আইদি পরিবহনের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী এমপি আ ক ম বাহার উদ্দিনের একটি ফোন কলে অনুমতির বিষয়টি নাকচ করা হয়। আমরা আইদি পরিবহনের জন্যে কুমিল্লা টার্মিনালে অফিস নিয়েছি। তারা আমাদের অফিস দখল করে নেয়। আমরা চাঁদপুরের মানুষ হিসেবে সবসময়ই কুমিল্লার কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই বর্তমান সরকারের সময় সমাজ থেকে সকল বৈষম্য দূর হোক--এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জগতপুর থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত প্রতিদিন চলছে আইদি পরিবহন। ইতোমধ্যেই যাত্রীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সড়কে বৈষম্য দূর করার কোনো বিকল্প নেই।