প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:১০
ডুবো চরে আটকে পড়ছে নৌযান : বয়া স্থাপন জরুরি
প্রমত্তা মেঘনার ডুবো চরে প্রতিনিয়ত আটকে পড়ছে বিভিন্ন ধরণের নৌযান। বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌ চলাচল। চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন প্রমত্তা মেঘনার বিভিন্নস্থানে জেগে উঠেছে ডুবোচর। এই ডুবো চরকে পাশ কাটিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌ চলাচল।
|আরো খবর
বর্তমান সময় নৌপথে মালামাল পরিবহনসহ যাতায়ত খরচ সাশ্রয়ী ও নিরাপদ হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেে নৌপথ। প্রতিদিন দেশের চট্রগ্রাম বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ঢাকাগামী জাহাজ, কার্গো, লঞ্চ, স্টিমারসহ বিভিন্ন নৌযান চাঁদপুরের প্রমত্তা মেঘনার বুক পাড়ি দেয়। এই পাড়ি দিতে গিয়ে আজ কয়েকদিন যাবত পুরাণবাজার শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন হরিসভা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নূর বকাউল বাড়ি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জেগে উঠা ডুবে চরে অটকে যাচ্ছে বড় বড় মালবাহী জাহাজ। তাদের অনেকেই হয়তো এই রুটে চলাচলে অভিজ্ঞতা না থাকার কারনে নদীতে পানির স্তর কখন কোন স্থানে কতটুকু রয়েছে তা বুঝতে পারছেন না। আর তা বুঝতে না পারার কারনে তাদের মালবাহী নৌজান আটকে পড়েছে ডুবো চরে।
আটকের পরই বুঝতে পারছে তাদের আটকে যাওয়ার কারন। ফলে তারা বহু চেষ্টা করেও আর সামনের দিকে এগোতে না পারায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় আটকে যাওয়া স্থানে। পরবর্তী সময় যখনই পুনরায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায় তখনই তাদের মুক্তি হয়।
এমন পরিস্থিতি আজ কয়েকদিন ধরে সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সাবধানতা অবলম্বনে বিআইডব্লিউটিএ'র কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। তারা যদি ডুবোচরের স্থানসমূহ নির্নয় করে, বয়া বা সতর্কতামূলক নিয়ন বাতি স্থাপন করেন, তাহলে এ স্থান দিয়ে চলাচলরত নৌযানগুলো ডুবে চরে আটকে গিয়ে ক্ষতির শিকার হতো না। এখনই যদি এ সকল ডুবোচর চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক ব্যাবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
মেঘনার বুকে জেগে উঠা ডুবোচরের কারনে যেমনিভাবে নদীর গতিপথ ব্যহত হচ্ছে, তেমনিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে নদীর পাড় এলাকা। নদীর স্বাভাবিক চলাচল বাঁধাগ্রস্ত হলে পুনরায় ভাঙ্গণ দেখা দিতে পারে পুরানবাজার শহর রক্ষাবাঁধে। এমনটাই মনে করছেন এ স্থানে বসবাসরত মানুষজন। তাই ভাঙ্গন প্রতিরোধে মেঘনায় জেগে উঠা ডুবো চর কেঠে নদীর স্বাভাবিক চলাচল অব্যাহত রাখার জোড় দাবী করে আসছেন দক্ষিনঅঞ্চল নদীভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি।