প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৪, ২০:৫১
বন্যার কারণে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ
ফেনী ও কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে আন্তঃনগরসহ সব ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী সাগরিকা ট্রেন ছেড়ে আসলেও ফেনী ও কুমিল্লায় বন্যার কারণে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।যার ফলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিলম্বে সাগরিকা ট্রেনটি চাঁদপুর পৌঁছায়। সেই ট্রেন বিকাল ৪ টা ৫ মিনিটে সময় চাঁদপুর স্টেশন থেকে রওনা দিলেও লাকসাম পর্যন্ত গিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
অপরদিকে, মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেনি ।
চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশনের মাষ্টার সোয়াইবুল সিকদার এ তথ্য জানান।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন পানিতে ডুবে গেছে, এবং কিছু রেলসেতুর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও, কুমিল্লায় বন্যার ফলে রেললাইন উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এবং ফেনী স্টেশনেও পানি জমে রয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১১টি আন্তনগর ট্রেন ঢাকা, জামালপুর, সিলেট, এবং চাঁদপুরে চলাচল করে। এছাড়াও কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা, এবং ময়মনসিংহের জন্যও লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে থাকে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, বন্যার কারণে রেললাইন এবং রেলসেতুর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ট্রেন চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রেলের সম্পদ রক্ষার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, কুমিল্লায় রেললাইন ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং ফেনীসহ আরও কিছু এলাকায় রেললাইন পানিতে ডুবে গেছে।
গতকাল বুধবার থেকে কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয়। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির ফলে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রামের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এসব অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে এবং বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।