প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ০৮:৪৬
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
নজরুলের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে
----------------------------- জেলা প্রশাসক
গাহি সাম্যের গান-মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও নজরুল এ প্রতিপাদ্যে চাঁদপুর জেলায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ মে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন চাঁদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত ও বিশিষ্ট কবি-লেখক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন শিল্পীবৃন্দ। জেলা প্রশাসক সকলকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের বিভেদ ভুলে নজরুলের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জাতীয় কবিকে নিয়ে বক্তারা বলেন, দ্রোহ ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে একজন ব্যক্তি নজরুলের জীবনালেখ্যর চেয়ে একজন বাঙালি ও বাংলাদেশি নজরুলের প্রভাব অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। গল্প, কবিতা, অভিনয়, উপন্যাস কিংবা সংগীত-সাহিত্য ও শিল্পের সব শাখায় তাঁর আগমন ছিল ধূমকেতুর মতো। আপন সৃষ্টির আলোয় নতুন দিনের আগমনী বার্তা দিয়ে এঁকে দিয়েছিলেন নবদিগন্তের উজ্জ্বল রেখা। শিল্প-সাহিত্যের নানা শাখায় আজও তিনি ‘উন্নত মম শির’। নিপীড়িতের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি কিংবা প্রেম ও মানবতার বাণীতে আজও তিনি সমুজ্জ্বল। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে নজরুলের সৃষ্টিকর্মেও রয়েছে বেশ প্রাসঙ্গিকতা। নজরুল কালোত্তীর্ণ এক কবি যাঁর প্রাসঙ্গিকতা কোনো সময়ের আবর্তে কিংবা ভূগোলের বিভাজনে বিভক্ত নয়।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন নিপীড়িত মানবতার কবি। সারা জীবন তিনি সমাজের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে কলম ধরেছেন। তিনি নির্ভীক চিত্তে কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে তার ক্ষুরধার রচনা অব্যাহত রেখেছেন, থেকেছেন আপসহীন, লোভ-খ্যাতির মোহের কাছে মাথা নত করেননি।