রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ১০:৫০

চাঁদপুরে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে ড. আতিউর রহমান

বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির সার্বজনীনতা নিয়ে বলার শেষ নেই

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির সার্বজনীনতা নিয়ে বলার শেষ নেই

চাঁদপুর জেলায় রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ১৪৩১ ও ৪২তম জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলনে সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে মানপ্রাপ্ত শিল্পীদের সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ মে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও মানপ্রাপ্ত শিল্পীদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও নির্বাহী সভাপতি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ড. আতিউর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ চাঁদপুর শাখার সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহ-সভাপতি বুলবুল ইসলাম, জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে মানপ্রাপ্ত শিল্পীবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন।

সাবেক গভর্নর ডক্টর আতিউর বলেন, সংঘাতময় এই পৃথিবীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সর্বজনীনতা নিয়ে বলার শেষ নেই। তাঁদের জ্ঞানের পরিধি এত সর্বব্যাপী যে ভাবতেই অবাক লাগে।এ দুজনের বিশাল প্রতিভাধরের যে বিষয় নিয়েই বলা হোক না কেন, সবটা বলে শেষ করা যাবে না। রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেন।

তিনি আরও বলেন, সাহিত্যের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথ চর্চা করেন নি। কবিতা, গান, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, চিঠিপত্র, চিত্রকলা সত্যিকারের বড়ো শিল্পীর মতো তাঁর এসব কাজ একসঙ্গে অনেক কিছু বলে। এক ব্যক্তির মধ্যে ভাবাদর্শ, শিল্প ও পাণ্ডিত্যের এমন শক্তিময় সম্মিলন ঘটেছে এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মানবসেবা, প্রকৃতিপ্রেম কিংবা সমাজ সংস্কারের পথে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, রচনাবলি তারুণ্যকে শাশ্বত-সুন্দর সত্যের পথ দেখিয়েছে। সামাজিক প্রেক্ষাপটে দিগভ্রান্ত বহু তরুণ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথে।

জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ প্রযুক্তি ক্ষেত্র উৎকর্ষ সাধন করেছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকেই স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের পথে আছি। করোনার সময় আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রশাসনের সেবা সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু প্রযুক্তির আরেকটি অন্ধকার দিক আছে। এডলাস হ্যাক্সলির "ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড" বইয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সত্য তথ্য অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাথে মিশে যাবে, সংস্কৃতি হবে ঠুনকো। আনন্দদানের মাধ্যমেই মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তার কথাগুলো ফলে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা একে মনোযোগের অর্থনীতি বলেছেন। স্ক্রিনে অতিরিক্ত মনোযোগ দানের প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীর ও মনের উপর। আমাদের মানসিক অবসাদ বাড়ছে। ভয়ানক প্রভাব পড়ছে কিশোর-কিশোরীদের মনে। আমরা যদি সত্যিই এ থেকে মুক্তি চাই, তাহলে আত্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সৃষ্টিশীলতা ও দক্ষতার প্রয়োজন হবে। আর সংগীতের পরিকল্পিত চর্চা সৃষ্টিশীলতা বাড়াবে। ইতিবাচক জৈবরাসায়নিক আকর্ষণ তৈরি হবে এর প্রতি। তবে পরিতাপের বিষয় নতুন প্রজন্ম রবীন্দ্রনাথকে ততটা ধারণ করছে না। বিশ্বায়নের প্রভাবে তাদের বিদেশি গানের প্রতি ঝোঁকই প্রবল। এখানেই আমাদের কাজ করবার আছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়