প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০১:৫৯
গো খাদ্য নিয়ে বিপাকে গো খামারিরা
সারাদেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় অতি বৃষ্টির ফলে গো খামারিরা পড়েছেন মহাবিপাকে। গো খামারির মালিক শাহ আলম এ প্রতিনিধিকে জানান,গো খামারে গরুকে অতি যত্ন সহকারে লালন পালন করতে হয়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম গোয়াল ঘরে অবস্থান রত গরুর মল মূত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হয়। এরপর যে সব গরুর শরীরে মলমূত্র লেগে থাকে তা ধৌত করে গরুকে শুষ্কস্থানে রাখতে হয়।ধারাবাহিক বৃষ্টির ফলে গরুর ঘর ভেজা এবং স্যাতস্যাঁতে ভাব থাকে এতে গরু বিশ্রাম নিতে পারেনা ও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।এতে গরুর কষ্ট বাড়ে যার প্রভাব পড়ে দুধালো গরুর ওপর যে পরিমাণ দুধ দেয়ার কথা ঘুম ও বিশ্রামের ঘাটতি থাকায় ক্লান্ত হয়ে পড়ায় সে পরিমাণ দুধ উৎপদনে ব্যর্থ হয়।এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গো খামারি।গো খাদ্য হিসাবে খৈল,ভুষি, খড়ের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হয় গরুকে আর তা গো খামারিরা সংগ্রহ করে থাকেন বপনকৃত জমি হতে। বেশিরভাগ জমি নিম্ন অঞ্চলে হওয়ায় জমিগুলোতে বপনকৃত ঘাস তলিয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে। শুকনো ঘাস গরুর নিরাপদ প্রিয় খাদ্য, গরু শুকনা ঘাস খেতে পছন্দন করে। শুকনো ঘাসে রোগবালাইও কম থাকে।ভেজা ঘাস খাওয়ার ফলে গরুর ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় ও হওয়ার ঝুঁকি থাকে।তারপরও বাধ্য হয়ে এ ঘাস খাওয়াচ্ছেন কারণ প্রকৃতির উপরও তো কারো হাত নেই।আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত এভাবেই চলতে হবে।