প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩, ১৯:৫৬
রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

ইতালির রোমে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উদযাপন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ১৯৭১-এ প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণের উপস্থিতিতে সকাল ১০ টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ,জাতির পিতাসহ সমস্ত বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
|আরো খবর
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদর্শন এবং সকলের অংশ গ্রহণে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে এই দিনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত,বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে বলেন, এই ভাষণ শুধুমাত্র বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেনি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষকে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত ৭ই মার্চের ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেই ইউনেস্কো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ (World Documentary Heritage) হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’(Memory of the World International Register)-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে বলেও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। এসময় দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারাও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।