রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১৩:০৭

ফিতরা রোজাকে পরিশুদ্ধ করে

এএইচএম আহসান উল্লাহ
ফিতরা রোজাকে পরিশুদ্ধ করে

জাকাতের মতোই ফিতরা আরেকটি আর্থিক ইবাদত। প্রচলিত ভাষায় আমরা একে ফিতরা বললেও কোরআন-হাদিসের ভাষায় একে ‘সাদাক্বাতুল ফিতর’ বলা হয়। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর উপর ফিতরা অত্যাবশ্যকীয়।

ফিত্রার দু’টি অন্তর্নিহিত তাৎপর্য রয়েছে। একটি হচ্ছে ঈদের আনন্দে গরিব-দুঃখীদের শামিল করা। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর মহাপুরস্কার বা মহাআনন্দের দিন হচ্ছে ঈদুল ফিতরের দিন। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। যারা একমাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজের জীবনকে পরিশুদ্ধ করেছে সেসব প্রিয় বান্দা ঈদুল ফিতরের দিন আল্লাহর মেহমান। এ আনন্দ যেনো সার্বজনীন হয় সেজন্যে ইসলাম ফিতরা নির্ধারণ করেছে। ঈদের জামাতে যাওয়ার আগেই ফিতরা পরিশোধ করে যেতে হবে। এটি সর্বশেষ সময়। তবে এর আগ থেকেই অর্থাৎ রোজার শেষাংশে ফিতরা প্রদান করা উত্তম। কারণ, ধন ও বিত্তবানদের প্রদেয় দান-সদকা নিয়ে অসহায়, গরিব-দুঃখীরা ঈদের আনন্দ করবে। সেজন্যে ফিতরার অর্থ তাদের জন্যে অত্যন্ত সহায়ক হবে।

ফিতরার আরেকটি তাৎপর্য হচ্ছে : রোজাকে পরিশুদ্ধ করা। রোজাদারের একমাসের রোজা পালনে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি হয় সে সবের কাফ্ফারা বা ক্ষতিপূরণ হচ্ছে ফিতরা। আমরা যতো সতর্কতার সাথেই রোজা পালন করি না কেনো, এর মধ্যে কিছু অপূর্ণতা ও ত্রুটি থেকেই যায়। যথাযথভাবে রোজা পালন সম্ভব হয় না। এসব ত্রুটি ও অপূর্ণতা দূর করার জন্যে দয়াময় আল্লাহ ফিতরার বিধান রেখেছেন। এজন্যে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হলেও মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মুসলমানের ফিতরা প্রদান করা উত্তম। ফিতরার সর্বনিম্ন একটি হার রয়েছে। যা এ বছর সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এটি মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্যে। অধিক সচ্ছল ও বিত্তবান শ্রেণীর জন্যে সর্বোচ্চ হারে ফিতরা আদায় করা উচিত। সুতরাং ফিতরার অন্তর্নিহিত এ দুটি তাৎপর্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আমাদের প্রত্যেকের ফিতরা প্রদান করা কর্তব্য।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়