প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
রমজানে অধীনস্থের কাজ হাল্কা করে দিতে হয়
রমজানের অন্তর্নিহিত যে সব শিক্ষা রয়েছে তন্মধ্যে সহমর্মিতা, সমব্যথিতা, সহানুভূতি ও সম্প্রীতি অন্যতম। মহান রাব্বুল আলামীন সচ্ছল ও সামর্থ্যবান বান্দাদের অন্তরে এ রোজার মাধ্যমে নিঃস্ব, অসহায় ও হতদরিদ্র লোকদের প্রতি দারুণ সহানুভূতি, সম্প্রীতি ও হৃদ্যতার ভাব জাগিয়ে তুলেন। ধনী-দরিদ্র, সচ্ছলণ্ডনিঃস্ব উভয়ের মধ্যে সৃষ্টি হয় পরস্পর ভালোবাসা, মানবিকতা, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সহানুভূতি। এক কথায় রোজা মানুষের অন্তর থেকে আত্মম্ভরিতা, অহঙ্কার ও গোঁড়ামি দূরীভূত করে সমন্বয় ও সাম্যতার সেতু তৈরি করে।
|আরো খবর
সেজন্যে রমজানের একটি শিক্ষা হচ্ছে অধীনস্থদের কাজ হাল্কা করে দেয়া। অর্থাৎ বাসা-বাড়ির কাজের লোক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও অফিস-আদালতের কর্মচারীদের কাজের চাপ রমজান মাসে কমিয়ে দিতে হয়। রোজাদারকে চিন্তা করতে হবে, আমি রোজা রেখে যেমন কাজ কম করতে চাই বা পরিশ্রমের কাজ পারতপক্ষে করতে চাই না, তেমনি আমার অধীনস্থ কর্মচারীও রোজাদার, তারও রোজা রেখে শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করতে কষ্ট হয়। তারও মন চায় রোজা রেখে একটু বিশ্রাম নিতে। সেজন্যে রোজার মাসে তাদের কাজ হাল্কা করে দিতে হয়। এটাই রোজার শিক্ষা। কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় এর উল্টো। আমরা নিজেরা রোজা রেখে আরামণ্ডআয়েশ করি, মার্কেটে ঘুরে বেড়াই অথচ বাসার কাজের লোকদের রোজা রাখতে দেই না। কারণ কাজের লোক রোজা রাখলে কাজ করবে কে? অথবা রোজা রাখতে দিলেও তাদেরকে সারাদিন কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখি। সেও যে একজন মানুষ, তারও যে একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, সে কথা আমরা ভুলে যাই। একই অবস্থা সরকারি অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন অফিসেও। বস্রা শুধু অধীনস্থদের হুকুম দিয়েই থাকেন, এ কাজটি তার পক্ষে করা সম্ভব কি-না তা ভেবে দেখেন না। এগুলো সিয়াম সাধনার শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই এসব আমাদের পরিহার করতে হবে।