শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

৫ বছরেও চাঁদপুর আধুনিক নৌ টার্মিনাল নির্মাণ কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি

শীঘ্রই আমরা টেন্ডারে যাচ্ছি, আগামী বছরের শুরুতেই কাজ ধরা হবে : নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী

৫ বছরেও চাঁদপুর আধুনিক নৌ টার্মিনাল নির্মাণ কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি
রাসেল হাসান ॥

চাঁদপুর নদী বন্দরের ইতিহাস দুইশ’ বছরের পুরানো। প্রায় দুইশ’ বছর আগে ডাকাতিয়া-মেঘনা নদীর তীরে চাঁদপুর নদী বন্দর স্থাপিত হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ‘আইজি এন্ড আরসিন’ কোম্পানি ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে স্টিমার ঘাট ও রেলওয়ে স্টেশনকে তৎকালীন যুগোপযোগী করে গড়ে তোলে। তখন অবিভক্ত বাংলার সাথে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা এ নদী বন্দরকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিলো। ২০০০ সালে হঠাৎ নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায় তৎকালীন লঞ্চঘাট। তারপর দীর্ঘ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও চাঁদপুরে একটি স্থায়ী নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ সম্ভব হয়নি।

যদিও বৃটিশ আমলের ঘাটটি নদীতে বিলীন হওয়ার পর ডাকাতিয়া নদীর উপর আরেকটি ছোট টার্মিনাল নির্মিত হয়। কিন্তু সেই টার্মিনালে মেঘনার ঘূর্ণিস্রোতের কারণে যাতায়াত বিপজ্জনক হওয়ায় গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চাঁদপুর মাদ্রাসাঘাট নামক স্থানে বিকল্প নৌ টার্মিনাল স্থায়ী ঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এই ঘাটটিতে যাত্রী সেবার ন্যূনতম ব্যবস্থাও গড়ে ওঠেনি। ঘাটে নেই যাত্রী ছাউনি, নেই বসার কোনো স্থান। পুরো চত্বরে খানাখন্দ আর বৃষ্টির পানি থাকে প্রতি বর্ষায়। পণ্টুনে দাঁড়িয়ে থাকাই যাত্রীদের ভরসা।

চাঁদপুর নৌবন্দর নিয়ে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি নিরসনে গত ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর একনেকে ‘চাঁদপুরে আধুনিক নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প’ নামক একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৬৭ কোটি টাকা। শুরুতে প্রকল্পটি শুধু চাঁদপুর নদীবন্দর নির্মাণ নিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে এই প্রকল্পে চাঁদপুরের সাথে ঢাকা (লালকুঠি ঘাট), বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, আশুগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল উন্নয়ন সংযোজন করা হয়। ফলে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ ও মেয়াদ নতুন করে বৃদ্ধি পায়। প্রকল্পের মেয়াদ ধার্য করা হয় ২০২৫ সাল পর্যন্ত।

২০১৬ সালের পর কেটে গেলো আরও ৫টি বছর। এখনও পর্যন্ত চাঁদপুর আধুনিক নৌ টার্মিনাল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। ৬৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি কি আলোর মুখ দেখবে নাকি ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে থাকবে বছরের পর বছর তা জানতে চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে কথা বলা হয় চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক কায়সারুল আলমের সাথে। তিনি বলেন, চাঁদপুরে আমি গত ১ বছর হলো যোগদান করেছি। এই এক বছরে চাঁদপুর আধুনিক নৌ টার্মিনালের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আমি দেখিনি বা এ সংক্রান্ত কোনো মিটিংয়ে আমার থাকার সুযোগ হয়নি। তবে কার্যক্রম একেবারেই যে বন্ধ রয়েছে তা কিন্তু নয়। হয়তো কাজের গতি স্লো হয়েছে। কোভিড সিচুয়েশন না থাকলে আরও আগে কাজ শুরু হতো।

‘কাজের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে গত ৫ বছরে’ তা জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর অঞ্চলের এই কর্মকর্তা বলেন, আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না। আপনারা উপরে কথা বলেন।

কথা বলা হয় বিআইডব্লিউটিএ, চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেনের সাথে। তিনি জানান, আমি যতটুকু জানি কনসালটেন্ট ফার্ম টার্মিনালের ডিজাইন চূড়ান্ত করেছে। প্রকল্প অফিসে ডিজাইনের ড্রাফটিং কাজ চলছে। প্রকল্পের কনসালটেন্ট টিমের প্রস্তাবিত ডিজাইনের ড্রাফটিং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে আমরা বলতে পারবো না। প্রকল্প অফিস ভালো বলতে পারবে।

চাঁদপুরবাসীর বহুল প্রত্যাশিত আধুনিক নৌ টার্মিনাল নির্মাণের অগ্রগতি জানতে চাঁদপুর কণ্ঠ টিম পৌঁছে প্রকল্প অফিস পর্যন্ত। বর্তমানে এ প্রকল্পটির নাম ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল ওয়াটারওয়ে ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট-১ (বিআরডব্লিওটিপি-১)’। যার অফিস মতিঝিল রাজউক এভিনিউ বিএসসি টাওয়ারের ১৯তম ও ২১তম ফ্লোরে। প্রকল্প অফিসে গিয়ে প্রকল্প পরিচালককে না পেয়ে কথা বলা হয় উপ-প্রকল্প পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ফরহাদুজ্জামানের সাথে।

চাঁদপুর কণ্ঠকে তিনি জানান, প্রকল্পটি ২০১৬ সালের শেষের দিকে একনেকে অনুমোদন হলেও প্রকল্প অফিস ও জনবল নিয়োগ দিয়ে কাজ শুরু করতে করতে ২০১৭ সাল হয়ে যায়। প্রকল্পের জিওতে (গভর্নমেন্ট অর্ডার) নির্দেশনা ছিলো কাজ শুরু করার পূর্বে কনসালটেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। তাই কনসালটেন্ট নিয়োগ দিতে দিতে ২০১৭ পার হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শেষের দিকে কনসালটেন্ট ফার্ম নিয়োগ দিলে তারা স্টাডি ও ডিজাইনের জন্য ২ বছর সময় চায়। দু'বছর পর ২০২০ সালের শুরুতে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় তা চার বছরে গড়ায়। তবে কনসালটেন্ট ফার্ম তাদের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করেছে। তারা স্টাডি শেষে ডিজাইনও জমা দিয়েছে। নতুন টার্মিনাল গঠন করতে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা কিছু প্রস্তাবনাও দেয়।

‘কনসালটেন্ট টিমের প্রস্তাবনা ও নকশায় চাঁদপুর টার্মিনালের আমূল কোনো পরিবর্তন এসেছে কি-না’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কনসালটেন্ট টিমের নথি দেখতে হবে। সকল ডকুমেন্ট প্রজেক্ট ডিরেক্টর স্যারের কাছে রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, আশুগঞ্জ নৌ টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন বিষয়ক দুটি কনসালটেন্ট ফার্মকে দায়িত্ব দেয়া হয়। একটি ফার্ম ইন্ডিয়ান অপর ফার্মটি বাংলাদেশী। ইন্ডিয়ান কনসালটেন্সি ফার্মের নাম ‘ভয়েম্টস সলিউশন ইন্ডিয়া এন্ড আই মেরিটাইম কনসালটেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং বাংলাদেশী কনসালটেন্সি ফার্ম হলো ‘ইউনিকম ইন্টিলেক্স’। ইউনিকম ইন্টিলেক্সের কো-অর্ডিনেটর মিস্টার রাসেলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইতোমধ্যে তারা প্রজেক্ট অফিসে ৫০৭ পৃষ্ঠার নথি জমা দিয়েছেন। যেখানে আবহাওয়া, নদী ভাঙ্গন, ড্রেজিং, বন্দর টার্মিনাল সংলগ্ন স্থলভাগ পর্যালোচনা করে সুপারিশ ও টার্মিনালের প্রস্তাবিত নকশা রয়েছে।

ইংরেজিতে লেখা ‘রিভাইসড ফাইনাল রিপোর্ট’ নামক ৫০৭ পৃষ্ঠার সেই নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নথির ৫৮ নম্বর পৃষ্ঠায় চাঁদপুর নৌ টার্মিনাল সম্পর্কে সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, 'মেঘনা নদীর বাম পাশে মাদ্রাসা ঘাট এলাকায় আধুনিক নৌ টার্মিনাল নির্মাণের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এই স্থানটি টার্মিনালের জন্য নির্বাচন/ব্যবহার করা যেতে পারে। টার্মিনালটি একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এখানে ক্লাস-১ নৌ টার্মিনাল নির্মাণ হলে মেঘনার ডান পাশের নৌ রুট বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে।’

নথির ৭৮ নম্বর পৃষ্ঠায় চাঁদপুর ও মতলব উপজেলার ষাটনল লঞ্চঘাট এলাকা, চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট, চাঁদপুর বর্তমান লঞ্চঘাট, বড় স্টেশন মোলহেড ও হাইমচর চরভৈরবী লঞ্চঘাট এলাকার কথা উল্লেখ করে কয়েকটি বিশেষ রুটে ড্রেজিং করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়।

ড্রেজিং সম্পর্কে ৪৭৬ নম্বর পৃষ্ঠায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে বলে হয়, নদী ড্রেজিংয়ের ফলে মৎস্য সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। তাই সুপারিশ করা হয়, ড্রেজিং অপারেশন এমনভাবে পরিচালিত করতে হবে যেন নদীর পানি অধিক ঘোলাটে না হয়। শুধুমাত্র নৌ চলাচলের নির্দিষ্ট চিহ্নিত এলাকাতেই ড্রেজিং করতে হবে।

কনসালটেন্ট ফার্মের কাজ যখন সম্পন্ন, তবে কেন দৃশ্যমান কাজের অগ্রগতি হচ্ছে না তা জানতে দ্বিতীয় দফায় যাওয়া হয় মতিঝিল রাজউক এভিনিউর বিএসসি টাওয়ারের ২১তম ফ্লোরে। প্রজেক্ট ডিরেক্টর ও বিআইডব্লিউটিএ-এর পরিচালক মাহমুদ হাসান সেলিম চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, কনসালটেন্ট ফার্ম যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সংশোধনী দিলে তা ফের কনসালটেন্ট ফার্মকে পাঠানো হবে। কনসালটেন্ট ফার্ম সংশোধন করে জমা দিলে তাতে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন নেয়া হবে। সকল অনুমোদন ফাইনাল হলে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে।

তবে প্রজেক্ট ডিরেক্টর বলেন, চাঁদপুর টার্মিনালের নকশা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে। নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি নকশার অনুমোদন দিলে অক্টোবর মাসের মধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাওয়া হতে পারে। সববিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী চার মাসের মধ্যে দৃশ্যমান কাজে হাত দিতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

‘প্রকল্পের বর্তমান মেয়াদের মধ্যে কাজ পুরোপুরি শেষ হবে কি-না’ জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, করোনায় আর কোনো হোঁচট না খেলে, সববিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যেই চাঁদপুর আধুনিক নৌ টার্মিনালের উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করছি।

দৃশ্যমান কাজের অগ্রগতি না হলেও ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর চাঁদপুর আধুনিক নদী বন্দর টার্মিনাল ভবন ও আনুষঙ্গিক নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। বর্তমানে তিনি নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ৩ বছরেও চাঁদপুর আধুনিক নৌ বন্দর টার্মিনালের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে শাজাহান খান এমপি চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, আমি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর এ বিষয়ে আর খোঁজ নেইনি। কাজ কেন থেমে আছে তা বর্তমান প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ভালো বলতে পারবেন।

‘আপনি নৌ পরিবহণ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে উক্ত কমিটিতে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা রেখেছেন কি-না বা সামনে মিটিংয়ে রাখবেন কি-না?’ জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, গত কয়েক মাসে আমি যতগুলো মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম এ বিষয়ে কোনো এজেন্ডা বা আলোচনা হয়নি। আমি তেমন একটা মিটিংয়ে থাকি না। আমার অবর্তমানে আলোচনা হলেও হতে পারে। তবে সামনের মিটিংয়ে আমি নিজেই এ বিষয়ে আলোচনা করবো।

নৌ পরিবহণ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মাজহারুল হক চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, নিকট অতীতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির যতগুলো মিটিং হয়েছে তার কোনোটিতে চাঁদপুর আধুনিক নৌ টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে সামনে কোনো মিটিং হলে আমি চাঁদপুর কণ্ঠের দাবিটি গুরুত্বের সাথে উত্থাপন করবো।

এ বিষয়ে নৌ পরিবহণ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, সাবেক এমপি শাজাহান সাহেবসহ আমরা এই টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। সে অনুষ্ঠানে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও উপস্থিতি ছিলেন। তারপর থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রকল্পটির কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে সে সম্পর্কে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। আপনারা (চাঁদপুর কণ্ঠ) যেহেতু বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছেন আমি আগামী রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইবো। অনতিবিলম্বে যেন টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করে এ জন্যে তাগিদ দিবো।

কবে নাগাদ শুরু হবে চাঁদপুর নৌ বন্দর টার্মিনাল নির্মাণ কাজ, কবে হবে কাজের টেন্ডার জানতে চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে কথা বলা হয় নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই আমরা টেন্ডারে যাচ্ছি, আগামী বছরের শুরুতে কাজ শুরু হবে। তখন সরেজমিন কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পারবেন সবাই। করোনার কারণে কাজের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে যায়। শীঘ্রই টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজের গতি আনা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়