বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৭

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের খপ্পরে

মো: জাকির হোসেন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের খপ্পরে
ছবি : সংগৃহীত

পদোন্নতি পেলেও তদবির ছাড়া সেটি সম্ভব হয়নি বলে জানান শফিক। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সিন্ডিকেট নেই বলে দাবি তার। উপাচার্যের দপ্তরে সার্বক্ষণিক থাকার বিষয়টিও সত্য নয়।

আমিনুল আক্তার প্রথমে ৮ আগস্টে বদলির বিষয়টি তার জানা নেই বলে এড়িয়ে যেতে চান। নথিপত্র আছে জানালে বলেন, ৮ আগস্ট তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেকেরও বদলি হয়েছে এবং এই বদলি যথা নিয়মেই হয়েছে। সহকারী থেকে সরাসরি উপাচার্যের সচিব হননি বলে দাবি তার। মশিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন। প্রশ্নের একপর্যায়ে তিনি বলেন, আপনি বায়াসড হয়ে এসব বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। উপাচার্যের দপ্তরে কে কোন কলেজের বিষয়ে আসে, সেটিও জানেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।

জসিম উদ্দিন বলেন, আমার চেয়ে জুনিয়ররা যখন পদোন্নতি পেয়েছে, তখনো আমি শুধু জাতীয়তাবাদী আদর্শের কারণে পিছিয়ে ছিলাম। যাদের বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক করা হয়েছে, তাদের কোনো সিন্ডিকেট নেই বলে দাবি তার।

বিএনপি আমলে চাকরি পাওয়ায় আওয়ামী লীগ আমলে নানা কাটখড় পুড়িয়ে পদোন্নতি পেতে হয়েছিল বলে দাবি সানাউল্লাহ মিয়ার। পরবর্তী সময়ে বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চাকরি রক্ষার্থে এমনটা করেছিলাম। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলাম। ৮ আগস্টের বদলি যথানিয়মে হয়েছে বলে দাবি তার। সিন্ডিকেট বলে কিছু আছে বলে বিশ্বাস করেন না তিনি।

মোসলেম উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সিন্ডিকেট নেই। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নামে ষড়যন্ত্র করছে। তবে আওয়ামী লীগ আমলে সহকারী রেজিস্ট্রার হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলেননি।

৮ আগস্ট বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে বেলাল হোসাইন বলেন, ‘এই প্রশ্ন আমাকে কেন? কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। এটি যথা নিয়মেই হয়েছে। আপনি বিষয়টা প্যাচাইতাছেন।’ সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আপনি একটি পক্ষের হয়ে কাজ করছেন। আমি কোনো সিন্ডিকেটের অংশ নই। রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। যারা কলঙ্ক লাগানোর জন্য এসব বলছে।

মিজানুর রহমান বলেন, আমি বঞ্চিত ছিলাম। ১৯ বছর পর পদোন্নতি পেয়েছি। আওয়ামী লীগ আমলে পদোন্নতির কথা তিনি অস্বীকার করেন। সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টিও ভিত্তিহীন বলে দাবি তার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুইবার পদোন্নতির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, মন্ত্রণালয়েও এর নজির আছে। মাসুদ রানা বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। আওয়ামী লীগের সময়ে কোনো সুবিধা পাইনি।

নজরুল ইসলাম বলেন, জাসদ ছাত্রলীগ করলেও পরবর্তী সময়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। সে কারণে দীর্ঘ সময় পদোন্নতি পাইনি। মশিউর রহমানের সময় পদোন্নতি পেলেও সেটা খুব সহজে হয়নি। পরীক্ষা দিয়ে পদোন্নতি পেতে হয়েছিল। উপাচার্য দপ্তরে সার্বক্ষণিক থাকা এবং সিন্ডিকেটের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এসব বিষয়ে জানতে মোস্তাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, শক্তিশালী এই সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকলেও উপাচার্য কিছুই করছেন না। সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই সিন্ডিকেটেই আবদ্ধ হয়ে থাকায় তিনি কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেও সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা আশপাশে দুয়েকটা (কয়েকজন) চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে সময় দিতে হবে। সামান্যতম প্রমাণ পেলে একটি লোকও রাখব না। তবে আমিনুলের বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ লেগেছে। অনেকের অনুরোধ না রাখায় এমনটি হয়েছে।

তথ্যসূত্র : কালবেলা

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়