প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ৬ হাজার কোটি টাকার আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র
সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে বিজয়ের পঞ্চাশ বছরপূর্তির দিনেই যাত্রা শুরু করবে প্রকল্পটি : এমডি ও সিইও সাগর মাহমুদ
চাঁদপুর শহরের নিকটবর্তী মেঘনার চরগুলোকে নিয়ে ‘ব্লু-রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম লিমিটেড’ এবং জাপানিজ কয়েকটি বিনিয়োগ সংস্থা যে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রের স্বপ্ন দেখিয়েছিল, সেটি অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাব এবং লকডাউনের কারণে ৮/৯ মাস প্রকল্পটির বাহ্যিক কোনো কাজ দেখা না গেলেও অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কাজ এগিয়ে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির পরামর্শ, আন্তরিকতা এবং সার্বিক সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশও প্রকল্পটিকে গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়েছেন এবং চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছেন বলে জানানো হয়।
|আরো খবর
প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান সাগর মাহমুদ জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে বিজয়ের পঞ্চাশ বছরপূর্তির দিনেই অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ দিনটিতে প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করবে।
আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু-রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম লিমিটেড’। তারা গত বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চাঁদপুরের মেঘনার কয়েকটি চরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক কাজ শুরু করে। এই সংস্থার সাথে জাপানিজ কয়েকটি বিনিয়োগ সংস্থাও সংযুক্ত রয়েছে। জানা যায়, বাংলাদেশের বেসরকারি এই পর্যটন সংস্থা আর জাপানিজ কয়েকটি বিনিয়োগ সংস্থা যৌথভাবে দেশে এবং বিদেশে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ার কাজে যুক্ত রয়েছে। এর সাথে চাঁদপুর জেলারও কয়েকজন রয়েছেন। চাঁদপুর যে পর্যটনের অপার সম্ভাবনার একটি অঞ্চল এ বিষয়টি এই পর্যটন সংস্থাটি দারুণভাবে অনুভব করে। সে অনুভব থেকেই এই সংস্থার পর্যটন প্রকল্প বাস্তবায়ন টিম চাঁদপুর সদর উপজেলার মৌজায় মেঘনার বুকে জেগে ওঠা বিশাল কয়েকটি চর অনেকবার ভিজিট করেন। তাঁরা সরজমিনে সরাসরি চরগুলো বারবার পরিদর্শন করেন, আবার আকাশ যান দিয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় চর এবং নদীর অবস্থা অবলোকন করেন। চরগুলোতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলার সকল ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সকল ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। ভর বর্ষা মৌসুমে নদী যখন অস্বাভাবিক উত্তাল থাকে তখন এবং একেবারে শুষ্ক মৌসুমেও সংস্থাটি সকল ধরনের সার্ভে করে। সকল সার্ভের পর তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, মেঘনার তিনটি চরে তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যটন অঞ্চল গড়ে তুলতে পারবেন। চর তিনটি হচ্ছে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ও বিষ্ণুপুর মৌজার দাসাদী সংলগ্ন তিনটি চর। চাঁদপুর শহর থেকে এ চরগুলোর অবস্থান হচ্ছে- বড় স্টেশন মোলহেড থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে। এখানেই বিচ্ছিন্ন তিনটি বিশাল চরকে বেছে নেয়া হয়েছে উক্ত পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলার জন্যে। আর এ লক্ষ্য নিয়েই গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পর্যটন সম্ভাবনাময় ওই বিচ্ছিন্ন তিনটি চরের অন্যতম দাসাদী সংলগ্ন মেঘনার বুকে আনুমানিক ২৮০ একর ভূমি নিয়ে জেগে ওঠা চরে প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ উল্লেখযোগ্য যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হচ্ছেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, ব্লু-রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম ক্লাব লিমিটেড এবং জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, গোলাম কিবরিয়া জীবন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, প্রেসক্লাবের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ওয়াহিদুজ্জামান, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হাবিবুর রহমান পাটওয়ারী, ব্লু-রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম ক্লাব লিমিটেডের পরিচালক মোঃ মুনসুর আলম মুন্না, মোঃ মাইনুল হাসান দোলন প্রমুখ।
সে অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন ব্লু-রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম ক্লাব লিমিটেডের পরিচালক রাজিব আহমেদ। তিনি এই পর্যটন কেন্দ্রে যা কিছু থাকবে তা মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এই প্রকল্প পরিচিতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির সাথে এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর তাঁর দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ অন্যরাও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতার সাথে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করবেন বলে প্রকল্প সংস্থাটিকে প্রতিশ্রুতি দেন। সেদিনকার প্রকল্প পরিচিতি অনুষ্ঠানের সংবাদ চাঁদপুর কণ্ঠসহ স্থানীয় সকল পত্রিকায় প্রধান শিরোনামে বেশ গুরুত্বের সাথে ছাপা হয়।
এরপর করোনার প্রাদুর্ভাব পুনরায় দেখা দিলে প্রকল্প কাজের গতিতে কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে অফিসিয়াল কাজ চলতে থাকে। যার আভাস পাওয়া গেলো গত ক’দিন আগে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের কাছ থেকে এ বিষয়ে আপডেট তথ্য জানতে পেরে। তখনই এই প্রতিবেদক সংস্থাটির নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে প্রকল্প কাজের অগ্রগতিসহ বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
প্রকল্প কাজটির বর্তমান অবস্থা এবং এর অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর কয়েকটি চরকে কেন্দ্র করে ব্লু-রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম লিঃ ও জাপানিজ কয়েকটি বিনিয়োগ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে একটি মেগা পর্যটন প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে। এ বছর মহামারীর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় উপর্যুপরি লকডাউনের কারণে তাদের কাজের অগ্রগতি কিছুটা ব্যাহত হয়।
ব্লু-রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম লিঃ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সাগর মাহমুদ জানান, বর্তমানে আমরা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল দপ্তরের সাথে কাজ করছি। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সকল ধরনের সহযোগিতা করছেন। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকও প্রকল্পটিকে গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়েছেন। সবচেয়ে আশার বিষয় হচ্ছে, চাঁদপুরের সকল দপ্তর থেকে আমাদেরকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছেন। বর্তমানে প্রকল্পের সকল কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের ডিসেম্বরে বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তির দিনেই যাত্রা শুরু করবে এ প্রকল্পটি।
তিনি জানান, এ প্রকল্পটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হলে প্রায় পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। বিশ হাজার পর্যটক প্রতিদিন এখানে রাত্রিযাপন করতে পারবে। প্রতিদিন এখানে বিশ্বমানের পর্যটন সুযোগ ব্যবহার করতে পারবে। এ প্রকল্প থেকে প্রতি বছর সরকার পাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে চাঁদপুরকে তুলে ধরতে পারবো।
প্রকল্পের প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট অধ্যাপক এ.আর. বিকাশ সৌদ আনসারী বলেন, আমরা প্রকল্পটিতে আন্তর্জাতিক মানের স্থাপনা নির্মাণ ভাবনার পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ব্যাহত করে এমন কোনো স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের মোটেই নেই। আমরা প্রতিটি স্থাপনা পরিকল্পনায় পরিবেশগত দিকটি সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়েছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারবো।
প্রকল্পের প্রকৌশলী মোঃ ইমাম হোসেন জানান, এ প্রকল্পের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ হচ্ছে, নদীর স্বাভাবিক গতিপথকে ঠিক রাখা ও নদীর তীব্র স্রোতে থেকে প্রকল্পকে রক্ষা করা এবং একই সাথে পরিবেশের যেনো কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। বর্তমানে আমাদের একদল গবেষক নদীর স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি ঠিক রেখে নদীর স্রোতকে কাজে লাগিয়ে টাইডাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এই প্রযুক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি এই চরগুলোকে রক্ষা করবে। শুধু তাই নয়, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চাঁদপুর শহর নদীর যে তীব্র হুমকির মুখে আছে তা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। আমাদের এই প্রকল্পটি এমনভাবে ডিজাইন করছি যাতে করে নদীর প্রাথমিক তীব্র ঢেউগুলোকে টাইডাল প্রযুক্তির মাধ্যমে হ্রাস করে স্বাভাবিক ঢেউয়ে পরিণত করা যায়। তাতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ওপর তীব্র ঢেউয়ের প্রভাব অনেকাংশে কমে আসবে। এছাড়াও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর গতিপথকে ঠিক রাখার কাজ প্রতিনিয়ত চলমান থাকবে।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্যে সবার কাছ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সম্প্রতি জাপানি বিনিয়োগে হসপিটাল ট্যুরিজমের অংশ হিসেবে ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি হসপিটাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছি। এই প্রকল্পের মধ্যেও আমাদের একটি হসপিটাল নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ নির্বিঘ্নে বিশ্বমানের সেবা পাবে এই হসপিটাল থেকে। আমরা আশা করছি আগামী দিনে হসপিটাল পর্যটনে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রকল্পের কাছাকাছি ১২ হাজার একর জমিতে দুটি ইকোনমিক জোন তৈরি হচ্ছে। যেখানে প্রচুর দেশি-বিদেশি রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা তৈরি হবে ও প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হবে। এই ইকোনমিক জোনের বিনিয়োগকারীরা তাদের বিদেশি বায়ারদের এই পর্যটন কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা দিয়ে আকৃষ্ট করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, চাঁদপুরের মেঘনার চরগুলোতে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে নদীকেন্দ্রিক পর্যটন বিকাশের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো জানান, আমাদের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্যে তিনটি ধাপে ৬শ’ একর ভূমির প্রয়োজন। প্রথম ধাপে প্রয়োজন ২৬৫ একর, দ্বিতীয় ধাপে ২১০ একর এবং তৃতীয় ও শেষ ধাপে প্রয়োজন হবে ১২৫ একর।
উল্লেখ্য, এই পর্যটন কেন্দ্রে যা কিছু থাকবে তা হচ্ছে : বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের স্মৃতি সম্বলিত ভাস্কর্য, জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের জাদুঘর, পানির ওপর ভাসমান কটেজ, ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার, ট্রেডিশনাল কটেজ, স্টুডিও এপার্টমেন্ট, পাঁচ তারকা হোটেল, থিম পার্ক, রিভার ক্রুজ, স্পিড বোট, হেলিকপ্টার, কনভেনশন হল, থিয়েটার, মিউজিয়াম, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো সেন্টার, মার্কেট, ফুড কোট, জিমনেসিয়াম, ইনডোর এবং আউটডোর গেমস, ক্রিকেট অ্যারোনা, সুইমিং ক্লাব, ওয়াটার রাইড, হসপিটাল, পার্টি সেন্টার, হলি কর্নার, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্টাফ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া, এগ্রি ট্যুরিজম, গ্রীন এনার্জি, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ প্রধান প্রধান শহরের সাথে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা এবং পর্যটন ডিপ্লোমা কোর্স স্কুল, যেখান থেকে প্রতি বছর ২ হাজার ছাত্র-ছাত্রী বের হবে, যা পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।