প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৬
চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ পরিদর্শনে চীনের প্রতিনিধি দল
চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের নদী ভাঙ্গন এবং পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গমস্থল এলাকার বর্তমানে কি অবস্থা তা সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন চীনা সরকারের পানি ও নদী ভাঙ্গন বিশেষজ্ঞ ১০ সদস্যের একটি টিম।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল দুপুরে ভাড়া করা একটি দ্বিতল লঞ্চ নিয়ে
যৌথ নদী কমিশনের একজন সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর পওর বিভাগের তত্ত্বাবধায় এবং নির্বাহী প্রকৌশলী সহ অন্যদের সাথে নিয়ে চাঁদপুরের নদী এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন চীনের ওই প্রতিনিধি দল।
এর আগে বেলা বারোটার সময় চাঁদপুর শহরের ষোলঘরস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ড রেস্টহাউজে আগমন করেন তারা।
এ সময় "পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গম নিয়ে উপস্থাপনা" সচিত্র প্রতিবেদন
উপস্থাপন করেন ইঞ্জি. মোঃ আতিকুল ইসলাম উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, শহর সুরক্ষা উপ-বিভাগ বিডব্লিউডিবি, চাঁদপুর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ডক্টর আবুল হোসেন, চীন সরকারের পানির সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডিজি ডিরেক্টর জেনারেল মিস্টার ওইন কিং,বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর পওর সার্কেল এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আবুল খায়ের, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহুরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন।
চাঁদপুর শহর সুরক্ষা উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইঞ্জি. মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান,চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়া মোহনার বর্তমান কি অবস্থা তা দেখার জন্য তারা এসেছে। আমরা চাঁদপুরের নদী ভাঙ্গন ও শহর রক্ষাবাঁধের শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে কিরূপ হয় এবং পদ্মা নদীর পানির ফ্লো ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে এর হিস্টরি তাদেরকে অবহিত করেছি।চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে দিয়ে কিভাবে কি পরিমান পানি প্রবাহিত হয় সেটিও আমরা দেখিয়েছি।
ওই প্রকৌশলে আরো জানান,৮২৭ কোটি টাকা ব্যয় চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পূর্ণবাসন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের দরপত্র আহবান করে ঠিকাদার নিযুক্ত হয়ে গেছে এবং কাজও শুরু হবে।
প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম বলেন,শহর রক্ষাবাঁধের নতুন বাজার পুরান বাজার অংশের ৩৩৬০ মিটার প্রতিরক্ষামূলক কাজ হবে এখানে।
আগে পদ্মা নদী থেকে মেঘনা নদীর প্রশস্ততা ছিল সাড়ে ৪ কিলোমিটার। এখন তা দেড় কিলোমিটার। আগে পদ্মার পানি বাঁকা নিয়ে মেঘনা দিয়ে নামতো। এখন সোজাসোজি পদ্মার বিশাল জলরাশি কম প্রশস্ততার জায়গা দিয়ে নিচে নামছে।মেঘনার পশ্চিম পাড়ে অনেক চর জেগেছে। চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধকে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে স্থায়ীভাবে
রক্ষা করতে হলে নদীর ড্রেজিং বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সেজন্য ড্রেজিং করার বিষয়ের সুপারিশ করা হয়েছে। আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পেরও ফিজিবিলিটি স্ট্র্যাডি করা হচ্ছে।