প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:২১
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : চাঁদপুরের মিনহাজের ভাই মরদেহ গ্রহণ করলে
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে পুড়ে নিহত কেএম মিনহাজ উদ্দিনের (২৬) মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে তার মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা। ২ মার্চ সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মিনহাজের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহতের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম খান সেটি বুঝে নেন।
রমনা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার মিনহাজের পরিবার তার হাতে থাকা ঘড়ি ও শরীরে অপারেশনের দাগ দেখে মরদেহ শনাক্ত করে। অন্য একটি পরিবারও মরদেহ তাদের স্বজনের বলে শনাক্ত করে। পরে মিনহাজের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। শনিবার মিনহাজ ও অন্য দুজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এসআই হাবিবুর বলেন, অন্য পরিবারের লোকজন এসে জানান, মিনহাজের মরদেহ তাদের স্বজনের নয়। পরে মিনহাজের বড় ভাইয়ের কাছে সেটি বুঝিয়ে দেয়া হয়।
মিনহাজের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গাছতলা গ্রামে। তিনি রাজধানীর সবুজবাগ বাসাবো খেলার মাঠ এলাকায় বসবাস করতেন। কারওয়ান বাজারে প্রাইটিসিস কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মিনহাজ ছোট। ঘটনার দিন তিনি গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন।
ওই ভবনে আগুনে নিহত বাকি দুই মরদেহ ডিএনএ প্রতিবেদন আসার পর হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে জানিয়ে এসআই হাবিবুর আরও বলেন, নিহত বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ হস্তান্তরের জন্য আরও কিছু নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বৃষ্টিকে মেয়ে দাবি করে কুষ্টিয়া থেকে এক ব্যক্তি হাসপাতালে এসেছেন। আরও এক ব্যক্তি নিজের মেয়ে বলে আরেকটি লাশ দাবি করেছেন। এসব আমলে নেয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো আসা সময়ের ব্যাপার।