বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ভাষা আন্দোলনের সাত দশক প্রসঙ্গে

ভাষা আন্দোলনের সাত দশক প্রসঙ্গে
অনলাইন ডেস্ক

২০০২ সালে ভাষা আন্দোলনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়। ওই সময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ছিলেন আবু মোঃ মনিরুজ্জামান খান। তিনি ভাষা আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০২ তারিখে শহীদ দিবসে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মরণিকা প্রকাশসহ ব্যাপক কর্মসূচি পালনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এজন্যে বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে কমিটি ও উপ-কমিটি গঠন করেন। পরবর্তী দশ বছর পর ২০১২ সালে উক্ত আন্দোলনের ষাট বছর পূর্তিতে সরকার ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসন হীরক জয়ন্তী পালনে খুব বেশি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেনি। চলতি ২০২২ সালে ভাষা আন্দোলনের সাত দশক তথা সত্তর বছর পূর্তি হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্ভবত সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

আত্মশ্লাঘা হলেও বলতে হয়, ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর পূর্তিতে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ একাধিক বিশেষ সাময়িকী প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি। অবশ্য চাঁদপুর প্রেসক্লাব বিলম্বে হলেও আগামী ৫ মার্চ ২০২২ শনিবার ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্তিতে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে, যেখানে ভাষা সৈনিকদের মরণোত্তর সংবর্ধনাসহ গুণীজন সংবর্ধনাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে সমকালের দাবি পূরণে এটি চাঁদপুর প্রেসক্লাবের যথার্থ উদ্যোগ। আমরা আগাম এ উদ্যোগের সাফল্য কামনা করি।

ইতিবাসবিদরা ভাষা আন্দোলনকে ব্যাপকার্থে বোঝানোর জন্যে এর বিস্তৃতিকে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত ধরেছেন। বস্তুত স্বাধীনতাপূর্বকালে পূর্ব বাংলায় এ আন্দোলনকে যুগপৎভাবে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার এবং এ ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দানের জন্যে গণদাবির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও, প্রকৃতপক্ষে এর বীজ রোপিত হয়েছিলো বহু আগে; অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া ও ফলাফল ছিলো সুদূরপ্রসারী।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ভাষা আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়েই পর্যায়ক্রমে স্বাধীনতার আন্দোলন এগিয়ে যায় এবং ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পরিণতিতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। সেজন্যে ভাষা আন্দোলনের প্রতিটি দশক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে উদ্যাপনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি। এ বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে আন্তরিকতার সাথে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়