শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৪

বিক্রয় প্রতিনিধি হত্যার দায় স্বীকার করলো রবিন ডাকাত

প্রবীর চক্রবর্তী
বিক্রয় প্রতিনিধি হত্যার দায় স্বীকার করলো রবিন ডাকাত

ফরিদগঞ্জে সিটি গ্রুপের এক বিক্রয় প্রতিনিধি রুহুল আমিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে তিন উপজেলার আতংক রফিকুল ইসলাম রবিন ওরফে রবিন ডাকাত। বুধবার (১৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসোইনের আদালতে সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর ২০২৫) সকালে নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম। তিনি জানান, চাঁদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসোইনের আদালতে বুধবার বিকেলে সে সাবলীলভাবেই ঘটনার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেভাবে বর্ণনা করেছিলো, সেভাবেই বর্ণনা করেছে। পরে তাকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-১১ ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে রবিন ডাকাতকে। পুলিশ বুধবার তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে। সেখানেই সে আইনি প্রক্রিয়ায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

সূত্র জানায়, স্বীকারোক্তিতে রবিন জানায়, সিটি গ্রুপের বেঙ্গল পণ্যের ফরিদগঞ্জের বিক্রয় প্রতিনিধি রুহুল আমিনকে গত ১১ নভেম্বর রাতে রুস্তমপুর এলাকায় পথিমধ্যে সে ও তার সহযোগী গতিরোধ করে। তার নিকট থেকে পণ্য বিক্রয়লব্ধ নগদ টাকা ছিনতাই করে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টাকালে রুহুল আমিন তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে ফরিদগঞ্জ থানাধীন রুস্তমপুর এলাকার সমিতি পোলের গোড়া নামক স্থানে রুস্তমপুরগামী পাকা রাস্তার ওপর লোকজনকে দেখে রুহুল আমিন সাহায্যের জন্যে 'ডাকাত ডাকাত' বলে চিৎকার দিলে রবিন রুহুল আমিনকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। অস্ত্রটি সে তার সহযোগী পারভেজের কাছ থেকে নিয়েছে। প্রয়োজন মাফিক সে তার কাছ থেকে নিতো। ঘটনার পর সে পালিয়ে যায়। পরে র‌্যাব-১১-এর হাতে সে ধরা পড়ে।

রবিনের বিষয়ে জানা গেছে, রবিন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার চান্দিরগাঁও গ্রামের হাজী শামসুন নুর পটোয়ারীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ হত্যা মামলাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে সবক'টিই ডাকাতি ও দস্যুতার। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জ থানার দুটি এবং বাকি ১৩টি মামলা লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন থানার।

উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর ২০২৫ (মঙ্গলবার) ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৭) নামে সিটি গ্রুপের বেঙ্গল পণ্যের এসআর নিহত হন। নিহত রুহুল আমিনের বাড়ি ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ালি গ্রামের মিজি বাড়িতে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে তিনি। হত্যাকাণ্ডের পর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর ২০২৫) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকা হতে মো. রফিকুল ইসলাম রবিনকে আটক করে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়