শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৭

দলবল নিয়ে শত বছরের চলাচলের রাস্তা কাটলেন প্রতিপক্ষ, অর্ধশত পরিবারের ভোগান্তি

৯৯৯-এ কল, পুলিশ ও ইউএনও'র নির্দেশে রাস্তা কাটা বন্ধ

কবির হোসেন মিজি
দলবল নিয়ে শত বছরের চলাচলের রাস্তা কাটলেন প্রতিপক্ষ, অর্ধশত পরিবারের ভোগান্তি

চাঁদপুর সদর উপজেলার মধ্য রঘুনাথপুর আরাজী বালিয়া গ্রামের বাহাদুর খান বাড়ির শত বছরের চলাচলের রাস্তা কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এমন অভিযোগ উঠেছে শাহরাস্তি পৌরসভার কর্মচারী নাছির উদ্দিন রিপন ও তার ছেলে রেজাউলসহ তাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এতে রাস্তা চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে অর্ধশত পরিবারের লোকজন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ৯টার দিকে একই গ্রামের নাছির উদ্দিন রিপন ও তার ছেলে রেজাউল দলবল নিয়ে এসে কোদাল দিয়ে রাস্তাটি কুপিয়ে চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলেন। ওই রাস্তাটি দিয়ে বাহাদুর খান বাড়ির প্রায় ৬০টি পরিবার দীর্ঘ শত বছর ধরে চলাচল করে আসছে।

বাহাদুর খান বাড়ির ভুক্তভোগী আলমগীর খান, দুলাল খান, খালেক খান, পিনোরা বেগম, লতুফা বেগম, নাছির ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, লাইজু বেগম, লাকি বেগম ও শাহিনা বেগমসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, বহু বছর আগে স্থানীয় মৃত লতিফ খান চলাচলের সুবিধার্থে তাদের এই রাস্তার জমি মৌখিকভাবে দান করেছিলেন। সেই থেকেই পরিবারগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে রাস্তা ব্যবহার করে আসছিলো।

তারা আরও জানান, ২০০৪ সালে নাছির উদ্দিন রিপন খান ওই এলাকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে রাস্তার পাশের ৪২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয়ের পর তিনি জমির সীমানায় কয়েকটি নারকেল গাছ রোপণ করেন, যেগুলো বড়ো হয়ে এখনও বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তিনি দাবি করছেন যে, রাস্তার অংশ তার ক্রয়কৃত জমির মধ্যে পড়েছে। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকালে দলবল নিয়ে গিয়ে রাস্তার প্রবেশ পথসহ বিভিন্ন স্থানে মাটি কেটে ফেলে দেন।

ঘটনার সময় ভুক্তভোগীরা নিরূপায় হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই সুমন কুমার দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি থানায় বসে মীমাংসা করার আশ্বাস দিলে রাস্তা কাটা বন্ধ হয়। এদিকে খবর পেয়ে ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা ইউএনওর নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা প্রশাসনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, শত বছরের পুরানো এই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বহু পরিবার চলাচল করে আসছে। হঠাৎ করে এভাবে রাস্তাটি কেটে দেওয়ায় তারা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাই তারা বিষয়টির সুষ্ঠু বিচার ও সমাধানের জন্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে নাছির উদ্দিন রিপনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি আমার খরিদের জায়গার আটের জমি কাটতে গিয়েছি। আমিতো আমার জমি দিয়ে কাউকে চলতে দেবো না। তাদের যদি কোনো কাগজ থেকে থাকে, সেটা তারা দেখাক। তিনি বলেন, সাংবাদিক কেনো, আরো যা কিছু দিয়ে মন চায় তারা যা ইচ্ছে তা করুক। আমি প্রশাসনিকভাবে বসে মীমাংসা করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়