শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৫৬

সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা

ফরিদগঞ্জে অন্ধ হাফেজ রেদোয়ান হোসেন মানিকের সম্পত্তি দখল

সোহাঈদ খান জিয়া
ফরিদগঞ্জে অন্ধ হাফেজ রেদোয়ান হোসেন মানিকের সম্পত্তি দখল

ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইছাপুরা গ্রামের অন্ধ হাফেজ রেদোয়ান হোসেন মানিকের সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে প্রভাবশালী মহল।

জানা যায়, নিজেদের সহায় সম্পত্তি থাকার পরও অসহায় হয়ে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে চলে আসছে পরিবারটি। অন্ধ হাফেজ মো. রেদোয়ান হোসেন মানিক ৭ বছর ধরে মাইক বাজিয়ে বাজারে বাজারে টাকা উঠিয়ে বাবা-মা, স্ত্রী ও ২ ছেলেকে নিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছেন । অন্ধ হওয়ার ৭ বছর পূর্বেও মসজিদে ইমামতি করতেন। তাদের সম্পত্তি নিজেদের দখলে থাকলে মানুষের নিকট সাহায্য চেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হতো না। একই বাড়ির আওয়ামী লীগের দোসর আলী আকবর পাটোয়ারী, মোবারক পাটোয়ারী, শফিউল্লাহ পাটোয়ারী, আ. কাদের পাটোয়ারী জোরপূর্বক প্রভাব বিস্তার করে সম্পত্তি ও সম্পত্তিতে থাকা বনজ ও ফলদ গাছসহ সকল কিছু ভোগদখল করে আসছে। যেটুকু সম্পত্তি তাদের ভোগদখলে আছে সেটুকু সম্পত্তি থেকেও উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে। নিজেদের সম্পত্তি থাকার পরও ঘর উত্তোলন, টয়লেট নির্মাণ ও পুকুরের ঘাটলা করতে দেয়নি তাদেরকে প্রতিপক্ষ। ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করার পাশাপাশি রান্নাঘর নেই তাদের। সম্পত্তির জন্যে বহুবার মারধরের শিকার হয়েছেন। এমনকি একাধিকবার সালিস বসলেও প্রতিপক্ষ সিদ্ধান্ত অমান্য করে। এরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায় না। এমনকি অন্ধ হাফেজ মানিকদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। থানা থেকে সালিসি সিদ্ধান্তে মাপ-জরিপ করা হলেও সালিসগণ তাদের পক্ষে রায় দেয়ার চেষ্টা করলে পরে বৈঠক বানচাল হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে অন্ধ হাফেজ মো. রেদোয়ান হোসেন মানিক বলেন, ৯২ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে রফিকুল ইসলাম ৩৫ দাগে ৯ শতাংশ বিক্রি করেন। ৬৫ শতাংশ খারিজ করা। ২৮ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে রেকর্ড সংশোধনের মামলা চলে আসছে। আমাদের সম্পত্তি থাকার পরও তা আমরা ভোগদখল করতে পারিনি। আমার বসতঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে। পাকের ঘর নেই। পাকের ঘর উঠাতে গেলে আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে মারধর করে। আমি একজন অন্ধ হাফেজ। মাইক বাজিয়ে বাজারে বাজারে টাকা কালেকশন করে কোনো রকম সংসার চালাই। সম্পত্তির বিষয়ে যেখানে কথা বলি সেখানেই টাকা ছাড়া কাজ হয় না। আমি এতো টাকা পাবো কোথায়? বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আমি অন্ধ মানুষের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে এগিয়ে আসবেন বলে আমার বিশ্বাস।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দু বছর আগে সালিস করেছি। ওই সময় তারা সালিস অমান্য করেছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়