প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৬
শনাক্ত হয়নি নারীর পরিচয়
মৃত্যুর চার মাস পর হত্যা মামলা দায়ের

শাহরাস্তি উপজেলার মাজার দিঘি থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের চার মাস পর শাহরাস্তি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন না পাওয়া গেলেও ময়না তদন্তের পর জানা যায়, উক্ত নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে, ২০২৫ শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে এসআই মো. আরিফ হোসাইন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শাহরাস্তি মাজার দিঘির পশ্চিম পাশে একটি অজ্ঞাত নারীর লাশ ভাসতে দেখেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হলেও লাশে কোনো বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পিবিআই সদস্যরা লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্যে আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার চেষ্টা করলেও পচন ধরার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর লাশটি ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় এবং বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে ময়না তদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, ভিকটিমকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। আড়াইশ' শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আসিবুল আহসান কর্তৃক প্রদত্ত ময়না তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, 'মৃত্যুর কারণ শ্বাসরোধ (Asphyxia), যা গলায় ফাঁস দেয়ার (Strangulation) কারণে ঘটেছে। এটি একটি মানবসৃষ্ট এবং মৃত্যুর পূর্ববর্তী ঘটনা।'
এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানার এসআই মো. আরিফ হোসাইন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২ (হত্যা), ২০১ (আলামত গোপন) এবং ৩৪ (পরস্পর যোগসাজশ) ধারায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এজাহারে ধারণা করা হয় যে, অজ্ঞাতনামা আসামি বা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ০৬/০৫/২০২৫ তারিখ বিকেল ৪টার আগে যে কোনো সময় ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মাজার দিঘিতে ফেলে দেয়।
মামলাটি রুজু করে তদন্তের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। লাশের পরিচয় উদঘাটন এবং আসামিদের শনাক্ত করার জন্যে পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।