প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০২
রায়পুরে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি
প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের শিকার, চাচা গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রাণ কোম্পানির এক কর্মচারী (৩৫)-এর বিরুদ্ধে এক স্কুল ছাত্রী (৯)কে যৌন হয়রানির (ধর্ষণ চেষ্টা) অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মচারীকে না পেয়ে তার ডিস্ট্রিবিউটরকে গনপিটুনি দেয় স্থানীয়রা।
|আরো খবর
অপরদিকে, বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণী (২০)কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আপন বৃদ্ধ চাচার (৬০) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী অভিযুক্ত বৃদ্ধকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাতে থানায় মামলা করেছেন তার পিতা। স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি (ধর্ষণ চেষ্টা) ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিরাপরাধ ডিস্ট্রিবিউটর হাসান আলী রানা। তবে এ ঘটনায় শিশুর পিতা থানায় অভিযোগ করেননি এবং অভিযুক্ত প্রাণ কোম্পানির কর্মচারী রাকিবকে আটকও করেনি পুলিশ।
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন : রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির বৃদ্ধ মো. সাহাবুদ্দিন (৬৫)। শিশু যৌন নিপীড়নকারী রায়পুর ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের মিঝি বাড়ির আবুল কালামের ছেলে মো. রাকিব (২৯)।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়,
শুক্রবার বিকেলে শিবপুর গ্রামে নিজের ঘরে বৃদ্ধ সাহাবুদ্দিন তারই আপন বাক প্রতিবন্ধী তরুণী ভাতিজিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় স্বজনরা পারিবারিক সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পেরে শনিবার বিকেলে বৃদ্ধকে পুলিশে সোপর্দ করেন। রাতেই তরুণীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। তবে এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধ সাহাবুদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
অপরদিকে বুধবার রাত ৯টায় রায়পুর শহরে মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন সড়ক দিয়ে দু শিশু শিক্ষার্থী (৮-১০) প্রাইভেট পড়ে বাড়ি যাচ্ছিলো। এ সময় প্রাণ কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর শিবপুর গ্রামের হাসান আলী রানার (৫০) বাড়ির সামনে পৌঁছলে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে (ধর্ষণ চেষ্টা) লম্পট রাকিব হোসেন। এ ঘটনা শিশুরা তাদের অভিভাবকদের জানালে তারা স্থানীয় লোকজন নিয়ে রাকিব হোসেনকে না পেয়ে তার মালিক হাসান আলী রানাকে বেদম মারধর করে। রাকিবকে হাজির না করায় বৃহস্পতিবার আবারও হাসান আলী রানাকে মব সৃষ্টি করে মারধর করা হয়। শুক্রবার হাসান আলী কৌশলে তার কর্মচারী লম্পট রাকিবকে ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে শিশুর পিতার হাতে তুলে দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। শিশুর প্রতি রাকিবের যৌন হয়রানির বিচার না করে উল্টো কেন মারধর করা হলো, বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন হাসান আলী রানা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাকিব হোসেন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, শনিবার বিকেলে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারলে ওই বৃদ্ধকে আটক করা হয়। রাতে তরুণীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। এ মামলায় অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিনকে রোববার সকালে আদালতে নিলে কারাগারে পাঠানো হয়।’
স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টিও দেখছি।