প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩০
কচুয়ায় এসি ল্যান্ডের গণশুনানির কারণে কমেছে জনদুর্ভোগ
সেবা গ্রহীতাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি
কচুয়া উপজেলা ভূমি অফিসে গণশুনানির কারণে কমেছে জনদুর্ভোগ। পাশাপাশি সেবাদানের চিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। একসময় বিভিন্ন কাজে দীর্ঘসূত্রিতা থাকলেও বর্তমানে তা দ্রুত সময়ে সমাধান হচ্ছে। মামলার নিষ্পত্তি শেষে বাদী-বিবাদীরা খুশি মনে এসি ল্যান্ড কার্যালয় ত্যাগ করেন। সপ্তাহের প্রতি বুধবার উপজেলা সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসি ল্যান্ড) কার্যালয়ে বসে এ গণশুনানি। এতে ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতার অবসান হচ্ছে। ফলে সেবাগ্রহীতাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। এছাড়াও অফিসে রয়েছে সিটিজেন চার্টার এবং তথ্য সহায়তা কর্মকর্তা, যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে উপজেলা ভূমি অফিসে এসে সেবা নিতে পারেন।
|আরো খবর
এসি ল্যান্ড বাপ্পী দত্ত রনি ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে কচুয়ায় যোগদান করেন। ইতোমধ্যেই তাঁর এ গণশুনানির কারণে প্রায় শতাধিক পরিবার উপকৃত হয়েছে। প্রতি বুধবারের এ গণশুনানিতে প্রায় ১০-১৫ টি করে মামলার নিষ্পত্তি হয়।
এ ব্যাপারে উপকারভোগী সাচার ইউনিয়নের কবির হোসেন বলেন, ভুলক্রমে অন্যের জায়গা আমার নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। গণশুনানিতে এসে সমাধান পেয়েছি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার জাবের মিয়া বলেন, ‘বর্তমান এসি ল্যান্ড বাপ্পী দত্ত রনি অত্যন্ত বিনয়ী ও সৎ কর্মকর্তা। তিনি তাঁর কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে একটি আলাদা চেয়ার সংরক্ষিত রেখেছেন। পাশাপাশি ভূমি সংক্রান্ত মামলার বাদী-বিবাদীকে সহযোগিতা করেন।
সহদেবপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ভূমি অফিসের গণশুনানিতে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি ফসলি জমির মাটি কাটা, অবৈধ বালু উত্তোলন এমনকি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখছেন।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) বাপ্পী দত্ত রনি চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, ‘গণশুনানির মাধ্যমে অফিসে শুদ্ধাচার হচ্ছে এবং দীর্ঘদিনের জটিলতা সমাধান হচ্ছে। ইতোমধ্যে কচুয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারি জায়গায় নির্মিত দোকানপাট উচ্ছেদ, জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত ফসলি জমি রক্ষায় মাটি কাটা ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ছবি : কার্যালয়ে গণশুনানি করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার বাপ্পী দত্ত রনি।