প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২১, ১৭:০৯
জেলে অনাথ হত্যা মামলার আরো দুইজন অভিযুক্ত আটক
ফরিদগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জেলে অনাথ দাস হত্যা মামলায় রাজু চন্দ্র দাস (২৫) ও উৎপল চন্দ্র দাস (২২) নামে আরো দুই জনকে আটক করেছে চাঁদপুর পিবিআই। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
|আরো খবর
২৫ আগস্ট বুধবার রাতে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার রনি মার্কেট থেকে তাদেরকে আটক করে। ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। একইদিন সকালে রাজু ও উৎপলের পিতা সুবল দাসকে একই এলাকা থেকে আটক করেছিল পিবিআই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক মুঠো ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিবিআই জানায়, গত ১৯ জুলাই কড়ৈতলীর পাশ্ববর্তী শাহী বাজারে মাছ বিক্রি করতে গিয়ে নিখোঁজ হন জেলে অনাথ দাস। এর সপ্তাহ খানেক পর ২৫ জুলাই সাহাপুর গ্রামের বাবুর বাড়ির কাছে একটি কচুরিপানা ভর্তি খাল থেকে অনাথের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে অনাথের লাশ উদ্ধারের পরপরই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রাজু, উৎপল ও তাদের পিতা সুবল দাস পালিয়ে যায়। একই দিন অনাথের ছেলে সুভাষ দাস বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। থানায় মামলা হলেও চাঁদপুরের পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়েনের সেকান্দর গাইন ওরফে শেখার ছোট ছেলে সোহাগকে আটকের পর সে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সোহাগের কাছ থেকে অনাথ দাসের মুঠো ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই নিশ্চিত হয় অর্থের বিনিময়ে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের মুল হোতা সুবল দাসসহ ৪ জন জড়িত। তাদেরকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে পিবিআই।
এর মধ্যে প্রধান আসামী সুবল দাস তার দুই ছেলে রাজু ও উৎপল বিভিন্ন সময় স্থান বদল করার কারনে তাকে আটক করতে বিলম্ব হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ আগস্ট বুধবার সকালে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুবল দাসকে আটক করতে সক্ষম হয় পিবিআই। এরপর ২৫ আগস্ট বুধবার রাতেই একই এলাকার রনি মার্কেট থেকে রাজু ও উৎপলকে আটক করে পিবিআই।
পরে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।