শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১০ মে ২০২২, ২২:২১

যাত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগে জাহিদ-৭ লঞ্চের সুপারভাইজারসহ আটক ৫

গোলাম মোস্তফা
যাত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগে জাহিদ-৭ লঞ্চের সুপারভাইজারসহ আটক ৫

লঞ্চে যাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনায় এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চের সুপারভাইজারসহ ৫ জনকে আটক করেছে চাঁদপুর নৌথানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যাত্রী চাঁদপুর নৌথানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে সোমবার রাতে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাহিদ-৭ যোগে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ধুলিয়া ইউনিয়নের ঘূচরাকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ঘাটে নামার জন্যে উক্ত লঞ্চের যাত্রী হয়। লঞ্চের ভেতরে মোশারফ ভূঁইয়ার ছেলে মেহেদী হাসান ও ভাতিজা কাউসার একটি কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো। এ সময় কেবিন বয় অন্য যাত্রীর জন্যে চা নিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত চায়ের কাপ লঞ্চ বয়ের হাত থেকে পড়ে যায়।

এ নিয়ে লঞ্চ স্টাফ এবং যাত্রী মেহেদী হাসান ও কাউসারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লঞ্চের স্টাফরা দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে যাত্রাবিরতি করলে যাত্রী মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া তার পরিবার নিয়ে লঞ্চ থেকে নামতে গেলে লঞ্চ সুপারভাইজার সাইদুর মৃধা ও স্টাফরা মিলে তাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে আহত করে। এ ঘটনাটি লঞ্চঘাটে ডিউটিরত চাঁদপুর নৌপুলিশের সদস্যের নজরে আসলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।

তাৎক্ষণিক উক্ত লঞ্চের সুপারভাইজার পটুয়াখালীর বাউফল থানার ছহিস্যা তাঁতেরকাঠি গ্রামের সাইদুর রহমান মৃধা (৩০), ভোলার শশী ভুষণ থানার রসুলপুর গ্রামের হোসেন (৪০), পটুয়াখালীর বাউফল থানার সিংহেরা কাঠি গ্রামের রাসেল হাওলাদার (২৭), পটুয়াখালীর বাউফল থানার তাহের কাঠি গ্রামের জুয়েল খন্দকার (২৩) ও বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার বড় রঘুনাথপুর গ্রামের রাজিব হোসেন খান (২২)কে আটক করে নৌথানায় নিয়ে আসে। এদিকে হামলায় গুরুতর আহত রাকিব চৌধুরী (১৮), শিমুল বেগম (৩৫), লিমা আক্তার (১৮), মেহেদী হাসান (১৭) ও কাউসার (২০)কে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।

ঘটনার পর লঞ্চযাত্রী মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে আটককৃতসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে চাঁদপুর নৌথানায় মামলা দায়ের করেন। আটককৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে নৌপুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত সকলকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে সকলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়