প্রকাশ : ০৯ মে ২০২২, ২১:১৫
বিষ্ণুপুরের স্ত্রীকে হত্যাকারী নাছির পুলিশের কৌশলে আটক
চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ধনপদ্দি গ্রামে গলাকেটে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় সন্দেহ ভাজন হিসেবে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ নিহত গৃহবধূর শাশুড়ী ও ননদকে আটক পর নিজেই আত্নসমর্পণ করেছেন খুনি নাছির।
|আরো খবর
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নাছির উদ্দীন ও তার স্ত্রী রুপা বেগমের সাথে ভোর রাতে মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে জিদের বশবতী হয়ে সে স্ত্রী রুপা বেগমকে ধারালো বটি দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। পরে নিজেই ভোর বেলায় সকলের অজান্তে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়।
পরবর্তীতে নিহত রুপার ছেলে সকালে ঘুম থেকে জেগে ঘরের দরজা খোলা এবং মায়ের গলা কাটা লাশ দেখে তার ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে ঘটনা দেখতে পায়।
এদিকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করার সময়ে খুনী নাছিরের মা রহিমা বেগম ও শিল্পী আক্তারকে ঘটনার ক্লু উদঘাটনে থানায় নিয়ে আসে।
এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনা উদঘাটনে এবং খুনীকে আটক করতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এতে খুনী নাছিরের মা ও বোনকে কৌশল অবলম্বন করে নাছিরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে এ ঘটনা থেকে রক্ষা করা হবে এবং পুলিশি হয়রানি করা হবে ও ঘটনার সাথে সে জড়িত না এমনটি পুলিশকে বুজাতে সক্ষম হবে। এমন মর্মে খুনী নাছিরের পরিবারের সদস্যরা তাকে বুজাতে সক্ষম হলে সে ঢাকা থেকে রফ রফ -৭ লঞ্চে উঠে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
চাঁদপুর ঘাটের কাছাকাছি আসলে পুনরায় তার পরিবারকে জানালে পরিবারের সদস্যরাসহ পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে লঞ্চঘাটে অবস্থান করে। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের এস আই মকবুল ও এস আই শাহরিনের নেতৃত্বে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনার পর পরই চাঁদপুর সদর এ এস পি সার্কেল আসিফ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেই এ হত্যার কথা স্বীকার করেন।