প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
মতলব উত্তরে ইউপি সদস্যের পিতাকে হত্যার অভিযোগ
মতলব উত্তরে কলাকান্দা ইউনিয়নের ৩নং ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের পিতা হাজী সিরাজুল হক বেপারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
|আরো খবর
১০ এপ্রিল রোববার বিকেলে ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের পিতা হাজী সিরাজুল হক বেপারী আসর নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের উদ্দেশ্য রওনা হন। পথিমধ্যে একই গ্রামের আরিফ হোসেন ছৈয়ালসহ আরো ক’জন মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সিরাজুল হক বেপারীকে একা পেয়ে মারধর করে। পরে তার ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলী বেপারী বলেন, আমার ভাইকে একা পেয়ে আরিফ ছৈয়াল ও তার লোকজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
নিহতের ছেলে ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, আরিফ ছৈয়াল ইউপি নির্বাচনে আমার সাথে পরাজিত হওয়ার পর থেকে আমার পিছনে লেগে আছে। ক’দিন আগেও আমাকে একা পেয়ে রাস্তায় মারধর করে। এ বিষয়ে আমি থানায় মামলা করি। ১০ এপ্রিল রোববার জামিনে আরিফ ছৈয়াল, লিটন, শাওন, গজনসহ আরো ক’জন মিলে আমার বাবাকে হত্যা করেছে।
কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা বলেন, বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে অবহিত করেছিলাম। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা এ হত্যাকাণ্ড করতে সাহস পেয়েছে।
খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার এসআই মিজানুর রহমান ও এসআই রমিজ উদ্দিন হাসপাতালে আসেন।
এ বিষয়ে কর্মরত চিকিৎসক বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না স্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যা।
উল্লেখ্য, গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেহেদী হাসান ও আরিফ ছৈয়ালের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। ঐ নির্বাচনে কলাকান্দা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান ও আরিফ ছৈয়াল প্রতিন্দন্দ্বিতা করেন। এতে মেহেদী হাসান ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাজাহান কামাল বলেন, হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু তা আমরা নিশ্চিত নই। ময়না তদন্তের জন্যে লাশ মর্গে প্রেরণা করা হবে। পরে রির্পোট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।