শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২২, ০০:৪১

মায়ের কোলে ফিরছে লাখ টাকা দত্তক দেয়া সেই শিশু

কামরুজ্জামান টুটুল
মায়ের কোলে ফিরছে লাখ টাকা দত্তক দেয়া সেই শিশু

লাখ টাকায় দত্তক দেয়া শিশুটি আর কয়েক ঘন্টা পর মায়ের কোলে ফিরছে। শিশুটিকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশেরর একটি দল। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর কন্ঠের অনলাইলে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পরেই হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার উদ্যোগ নিয়ে থানা পুৃলিশের সহায়তা শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগি হন।

বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জুবাইর সৈয়দ বলেন,শিশুটি উদ্ধারেরর জন্য ঢাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্য পুলিশ শিশুটিকে নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে। থানায় এসে পৌঁছলে শিশুটির বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, শিশুটিকে অন্য একটি পরিবার লালনপালনের নিয়ে গেছে এমন বিষয়টি জানার পর পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেবো।

উল্লেখ্য জোবায়েরা আক্তার নামের ১৩ মাসের বয়সি শিশুটি হাজীগঞ্জ পৌর ৩ নং ওয়ার্ডের ধেররা-বিলওয়াই গ্রামের ইউনুস মজুমদার বাড়ির বশির-আসমা দম্পত্তির ছোট সন্তান। গত সোমবার দুপুরে এফিডেভিটের মাধ্যেমে রাজধাণীর একটি পরিবারের কাছে সন্তান দত্তক দিয়েছেন। দত্তক নেয়া পরিবারটি তাদেরকে খুশি হয়ে ১ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানান শিশুটির বাবা মো: বশির।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে শিশুটি বাড়িতে গেলে বাবা মো. বশির জানান, ২০১৬ সালে সিএনজি চালিত স্কুটারের চাপায় গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর চিকিৎসাজনিত কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। টাকার অভাবে চিকিৎসা এবং ঋণ পরিশোধ করতে পারছেনা। এছাড়াও তিনি অসুস্থতার কারনে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।

মো: বশির আরো জানান, আমার সাড়ে তিন বছর ও তের মাস বয়সি দুইটি কন্যা শিশু রয়েছে। টাকার অভাবে আমার চিকিৎসা, ঋণ পরিশোধ ও বাচ্চাদের খাবার কিনতে (ক্রয়) পারছিনা। এদিকে অসুস্থতার কারনে কাজও করতে পারছিনা। বাড়িতে বাবার পৈত্রিক সম্পত্তিও নানান জটিলটায় বিক্রি করতে পারছিনা। তাই ছোট মেয়েকে দত্তক দিয়ে দিয়েছি। মেয়েকে আদালতের মাধ্যমে দত্তক দিয়েছি তবে যারা দত্তক নিয়েছে তারা আমাকে ১লাখ টাকা দিয়েছে।

শিশুটির মা আছমা আক্তার জানান, নাড়ি ছেড়া ধন মেয়ের জন্য বুকটা ফেটে যায় । কি করবো, স্বামীর চিকিৎসা দরকার, দেনা পরিশোধ দরকার আবার স্বামী সুস্থ হলে কাজ কর্মে যেতে পারবে, এমন বিষয়গুলো ভেবে মেয়েকে দিয়েছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়