প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৪২
রংপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর গৃহবধূর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার
রংপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর রাহেলা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
|আরো খবর
রাহেলা বেগম রংপুর নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাহাদুরসিং এলাকার মৃত মুনজাব আলীর স্ত্রী। তিনি স্বামীর মৃত্যুর পর বুড়িরহাট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সংলগ্ন চ্যাংমারী এলাকার গুচ্ছগ্রাম আবাসনে বসবাস করতেন। তার একমাত্র ছেলে রায়হান বাবু (১৭) ঢাকায় চাকরি করেন। আর রাহেলা স্থানীয় একটি জুট মিলে চাকরি করতেন।
এলাকাবাসী জানায়, ভবনের ভেতর থেকে গন্ধ বের হওয়ায় পুলিশে খবর দেন তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনের দরজা ভেঙে রাহেলা বেগম নামে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সিআইডি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতের ভাই মন্টু ও বাচ্চু মিয়া জানান, রংপুরে একটি ব্যাংকে তার ডিপিএস অ্যাকাউন্ট ছিল। সেখানে তিনি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে জমা রাখতেন। ব্যাংকে টাকা জমা দেয়াসহ প্রয়োাজনীয় কাগজপত্রাদি বুড়িরহাট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কৃষি ফার্ম শ্রমিক সমিতির সভাপতি পূর্বপরিচিত শহিদুল ইসলাম সাইদুলের কাছে সংরক্ষণে রেখেছিলেন। জমি কেনার কথা বলে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার ব্যাংকে জমানো ডিপিএস এর টাকা উত্তোলনের জন্য কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে আবাসনের বাড়ি থেকে বের হন রাহেলা। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
নিখোঁজের বিষয়টি শনিবার গংগাচড়া মডেল থানা পুলিশকে অবগত করেন রাহেলার পরিবার। এর একদিন পর রবিবার সকালে নিখোঁজ রাহেলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার হয়। এদিকে মরদেহ উদ্ধার ঘটনার পর থেকে কৃষি ফার্ম শ্রমিক সমিতির সভাপতি নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম সাইদুল পলাতক রয়েছেন বলে জানান নিহতের পরিবার।
এ ব্যাপারে রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।