প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:২০
হাজীগঞ্জের সেই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে!
হাতকড়া পড়ানো মাদক ডাকাতিসহ প্রায় ২০ মামলার আসামী জাকির হোসেন (৩৮) ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানার এএসআই মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি চাঁদপুর কন্ঠকে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।
জাকির হোসেন হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ১৩ জন নামীয় ও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পুৃলিশ মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে হাতকড়া উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উক্ত মামলায় ১ নারীসহ ২ আসামীকে ইতিমধ্যে পুলিশ আটক করেছে তবে মূল হোতা জাকির এখনো পলাতক রয়েছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, এএসআই মোজাম্মেলকে শোকজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, একটি সড়ক দুর্ঘটনায় বাকিলা গ্রামের মাদক বিক্রেতা ও সিএনজি স্কুটারচালক আ: মজিদের ছেলে মনির হোসেন গাজী বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত মনিরের জানাজা পরের দিন শুক্রবার সকাল ১১ টায় বাকিলা পূর্ব বাজার জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সেই জানাজায় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ এএসআই মোজাম্মেলসহ সঙ্গীয় ফোর্স অন্য মাদক ব্যবসায়ীদদেরকে ধরার জন্য আসে। জানাজা শুরুর কিছু পূর্বে মোজাম্মেল নিজে মাদক ব্যবসায়ী জাকিরকে জানাযাস্থল থেকে আটক করে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় নেওয়ার জন্য রওনা হয়।
এ সময় জাকিরের পক্ষ অবলম্বন করে মুষ্টিমেয় কয়েক মুসল্লি এএসআই মোজাম্মল হোসেনকে অনুরোধ করে জাকিরকে জানাজায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেবার জন্য। এএসআই মোজাম্মল হোসেন সবার কথাকে বিশ্বাস করে হাতকড়া অবস্থায় জাকিরকে জানাজার সুযোগ করে দেবার সাথে সাথে জাকির পালিয়ে যায় যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় এএসআই মোজাম্মল হোসেন জাকিরকে ধরার জন্য চেষ্টা করলে জাকিরের সহযোগী বেশ কয়েকজন পুলিশের উপর হামলা করলে হাতকড়া পড়া অবস্থায় জাকির পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরেই পুলিশ হাতকড়া উদ্ধার করতে পারলেও জাকিরকে আটক করা সম্ভব হয়নি।