প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
বিষ্ণুদী আজিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু!
চাঁদপুর শহরের আঃ করিম পাটোয়ারী সড়কস্থ বিষ্ণুদী আজিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামের (৪৯) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিজ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে পাওয়া যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। ঘটনাটি ঘটে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে।
|আরো খবর
ঘটনার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর কাছ থেকে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় ২৬ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যান তিনি। এরপর দুপুর গড়িয়ে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বহুবার ফোন করা হলেও কোনো রেসপন্স না পাওয়ায় চারদিকে খোঁজা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা (পরিবারের সদস্যরা) বিদ্যালয়ে গিয়ে খোঁজেন। তখনি তাকে বিদ্যালয় ভবনের ৩য় তলার একটি বন্ধ রুম থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ওই রুম থেকে কীটনাশক জাতীয় ৩টি খালি বোতল উদ্ধার করা হয়।
পরে তাকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে আনলে কর্মরত চিকিৎসক তার মুমূর্ষু অবস্থা দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার করেন। পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। পুনরায় তাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। পরে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্যে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
অপরদিকে সহকর্মীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাৎক্ষণিক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকগণ হাসপাতালে ভিড় জমান।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি চমৎকার ছিলেন। কিন্তু কেনো বা কীভাবে এমন ঘটনা ঘটলো তা রহস্যময়।
সদর মডেল থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্স) ইন্সপেক্টর এনামুল হক জানান, শিক্ষক রফিকুল ইসলাম একটি নোট লিখে যান। যেটি তার প্যান্টের পকেটে পাওয়া যায়। তবে ওই নোটের ভেতর কী লেখা ছিলো তা তিনি তদন্তের স্বার্থে বলেননি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং হাসপাতালে এসেছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।
এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো কিছু বলতেও রাজি হননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলামের লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
নিহত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ২ কন্যা সন্তানের জনক। তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল বলেন, এ খবরটি আমি শুনতে পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করি। এ ঘটনার বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ দাফনের জন্যে বলে দিয়েছি।